images(21)

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৪ফেব্রুয়ারি১৬)- আসাদুজ্জামান সুজন (নীলফামারী প্রতিনিধি): নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় বেপরোয়া ভাবে  গড়ে উঠছে একের পর এক অনুমোদনহীন  ব্যঙের ছাতার মতো ইটভাটা। এসব ইটভাটা গিলে খাচ্ছে হাজার  হাজার বিঘা উর্বর আবাদি ফসলি শষ্য
জমি। প্রতিবছর উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি টাকার ফল ও ফসল।
হুমকির সম্মুখিন খাদ্য নিরাপত্তা চরম বিপর্যয়ের সম্মুখিন সবুজ বৃক্ষরাজি প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়ানে অনুমোদনহীন ব্যঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে ফসলি জমিতে ইটভাটা। হুমকির সম্মুখিন পরিবেশ ! প্রশাসনের কোন দৃষ্টি নেই
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ আইনে তিন কিলোমিটার
এলাকার মধ্যে জনবসতি থাকলে ইটভাটা স্থাপন করা নিষেধ রয়েছে। অথচ সরকারের এই গুরত্বপুর্ন আইনটিকে মোটেও তোয়াক্কা করছেনা এই এলাকার ভাটা মালিকরা।

স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলায় নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে ফসলি জমির উপর গড়ে উঠছে প্রায় ৫০টি মতো ইটভাটা।

সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর এলাকার কৃষক আজিজুল ইসলাম  বলেন, এখানকার ইটভাটাগুলো গড়ে উঠেছে উর্বর আবাদি জমির উপর। ইট তৈরির জন্য ভাটা মালিকরা প্রভাব
বিস্তার করে জোড় পূর্বক নামমাত্র টাকা ধরিয়ে দিয়ে দুই-তিন ফুট গভীর
করে কেটে নিয়ে যাচ্ছে জমির মাটি।যা দিয়ে ইট তৈরি করে তারা লাভবান
হচ্ছে। আর এতে চরমভাবে তিগ্রস্থ হচ্ছে আমরা (কৃষকরা)। আমাদের ওইসব জমিতে তিন বছর কোনো ফসল ফলছে না। এলাকাবাসী অবিলম্বে পরিবেশ ধ্বংষ কারী নির্মানাধীন ও বর্তমানে চালিত বৈধ অবৈধ সকল ইটভাটা অন্যত্র অকৃষি জমিতে স্থানান্তর করে খাদ্য নিরাপত্তা সহ পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে এলাকাটিকে রক্ষা করার দাবী জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে