c6a72bd1ab4153847ae4b82c2c71ba3b-147_pirojpur-pic-08

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) উৎপাদন করা হচ্ছে। সরকারি কৃষিবিদ থেকে জৈব সার কোম্পানির মালিক সবাই বলছে সরকার এই দিকে একটু মনোযোগ দিলে ইউরিয়া সার আমদানিতে ভর্তুকি দিতে হবে না। আর খাদ্যের বিষ মাত্রা থেকে কিছুটা হলেও জাতি রেহাই পাবে। তাছাড়া এই সার ভূমির স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনেরও সুযোগ আছে।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী, নিমোজখানা ও বড়গাছা গ্রামগুলোতে প্রায় ৩০০ পরিবার কেঁচো সার উৎপাদন করছে। এ ছাড়া ডিমলা ও সদর উপজেলাতেও কেঁচো সারের বাণিজ্যিক উৎপাদন চলছে বলে জানান তিনি।

সার উৎপাদনকারী ডোমার উপজেলার কৃষ্ণা রানী, মুক্ত রঞ্জন ও জগদীশ চন্দ্র রায় বলেন, তারা মূলত নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে ৪ টাকা কেজি দরে স্থানীয় জৈব সার কোম্পানিতে বিক্রি করছেন কেঁচো সার। গোবর, খড়, গাছের ডাল, লতাপাতা ও গৃহস্থালি বর্জ্য থেকে পাওয়া বলে এই সার বিক্রির সবটাই তাদের লাভ।

বাংলাদেশের প্রথম অনুমোদন প্রাপ্ত জৈব সার উৎপাদনকারী কোম্পানির কর্ণধার ও এ অঞ্চলের কৃষকদের দ্বারা কেঁচো সার উৎপাদনের অন্যতম উদ্যোগী যুবক দেবরাজ আগরওয়ালা বলছেন, বর্তমানে মাটিতে জৈব বস্তুর পরিমাণ মারাত্মক বিপদজনক পর্যায়ে। দুই একটি কোম্পানির উদ্যোগ তেমন কোনো কাজে আসবে না।এ সমস্যা থেকে বের হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আরো উদ্যোগী হতে হবে।

অন্নপূর্ণা জৈব সার কোম্পানির কর্মচারী দীলিপ মজুমদার বলেন, কেঁচো সার উৎপাদনের কারণে এ এলাকায় নতুন ধরনের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। যা অনেকে কল্পনাই করেনি। এখন সার উৎপাদন করে সম্মানজনক জীবন যাপন করছে অনেকে।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক জানান, কেঁচো সারের ব্যবহার শতকরা ১০ ভাগ ইউরিয়ার ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারে এবং গুরুত্ব পেলে রপ্তানিমুখী একটি পণ্য হতে পারে। যা থেকে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে