রাজধানীর দক্ষিন খানের ৫০ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর ডি এম শামীমের লোকজন জুমার নামাজ থেকে দৈনিক জনতার স্থানীয় সাংবাদিক মাহফুজুল আলম খোকন নামের দৈনিক জনতার এক সাংবাদিককে তুলে নিয়ে ব্যপক মারধর করে। আহত সাংবাদিক মাহফুজ খোকন মারাত্বক আহত অবস্থায় বর্তমানে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দক্ষিন খানের দেওয়ান বাড়ীর জামে মসজিদের কমিটি বদল করে নিজে কমিটি দিতে যান কাউন্সিলর শামীম। কিন্তু মসজিদের বর্তমান কমিটির তাতে সায় ছিল না। এ নিয়ে কাউন্সিলরের সাথে মসজিদ কমিটির দেন দরবার চলছিল। মসজিদ কমিটির বর্তমান নেতারা পূর্বে কমিটি বহাল রাখার কথা বললেও কিছুতেই শুনছিলেন না কাউন্সিলর।

সেই ধারাবাহিকতায় কাউন্সিলর আজকে কমিটি দিতে যাবে এবং সেখানে হট্টগোল হতে পারে বলে স্থানীয় সাংবাদিককে ডাকে মসজিদের বর্তমান কমিটি। নামাজের পর এ নিয়ে একটি বৈঠকও হওয়ার কথা ছিল। জুমার নামাজের খুৎবা শেষ করে ইমাম সাহেব ছোট আজান দিতে মুয়াজ্জিন কে অনুমতি দিলে এসময় কিছু কথা বলবে বলে কাউন্সিলর বক্তব্য শুরু করেন, ঠিক এসময়ে সাংবাদিক খোকন মোবইল ফোনে কাউন্সিলর ডিএম শামিমের বক্তব্য রেকর্ড করতে চাইলে পাশে থাকা কাউন্সিলরের লোকজন পরিচয় জানতে চায় খোকনের। খোকনের সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে আট-দশজনে খোকনকে বাহিরে নিয়ে বেদম প্রহার করে। তার মোবাইল ও ক্যামেরা চিনিয়ে নেয়। পরে মসজিদের আঙ্গিনা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে কাউন্সিলর অফিসে আটকে রাখে। পরে অন্য সাংবাদিক ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তায় খোকনকে ছাড়িয়ে এনে টঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বর্তমানে সাংবাদিক খোকন হাসপাতালে ভর্তি আছে।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর ডি এম শামীম বলেন, সাংবাদিক হলে উনার গলায় ফিতা বা হাতে ক্যমেরা নাই বলে ওরা তাকে চিনতে পারেনি। তাই ধরে নিয়ে আসছে। এখন সাংবাদিক সাহেব এর সাথে আমার কোন বিরোধ নাই। তবে এবিষয়ে সাংবাদিক খোকন বলেন, সাংবাদিক পরিচয় জানার পরই তার উপর হামলে পড়ে কাউন্সিলরের লোকজন। উল্লেখ্য ইতিপূর্বেও এলাকায় সাংবাদিক মারধর করার বিষয়ে কাউন্সিলরের লোকজনের নামে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক সংবাদও প্রচার হয়েছে।

C/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে