united-mations

আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ হারিকেন বিধ্বস্ত হাইতি এখনো ২০১০ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বিগত দুই দশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে কোন দেশের তুলনায় হাইতিতে সবচেয়ে বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ একথা জানিয়েছে।
আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি হারিকেন ম্যাথিউয়ের ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছে।
ইউনাইটেড নেশনস এজেন্সি ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন (ইউএনআইএসডিআর) এর একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিয়ে বিগত দুই দশকে দেশটিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
বিগত ২০ বছরের ৭ হাজারের বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষণা প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধনী দেশগুলোর ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। কিন্তু দরিদ্র দেশগুলোতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে।’
গবেষণা প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ১৯৯৬ ও ২০১৫ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এদের ৯০ শতাংশই নি¤œ অথবা মধ্যম আয়ের দেশে বাস করত। এদের মধ্যে শুধু হাইতিতেই ছয় ভাগের এক ভাগ লোক প্রাণ হারিয়েছে।
ইউএনআইএসডিআর-এর প্রধান রবার্ট গ্যাসার সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি দেশের আর্থসামজিক অবস্থান ও সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, এই সময়ের মধ্যে অন্যান্য যে কোন দেশের তুলনায় হাইতিতে প্রাণহানির সংখ্যা অনেক বেশি। এর পরের স্থানেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটিতে ১ লাখ ৮২ হাজারের বেশি লোক মারা গেছে।
মিয়ানমারে এই সময়ের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫শ’ লোক প্রাণ হারিয়েছে।
গ্যাসার বলেন, ২০১০ সালে হাইতিতে প্রচ- শক্তিশালী একটি ভূমিকম্পে ২ লাখ ২৩ হাজার লোক প্রাণ হারায়।
প্রায় একই রকম শক্তিশালী ভূমিকম্পে চিলিতে অল্প কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটে এবং প্রায় একই মাত্রার ভূমিকম্পে নিউজিল্যান্ডে কোন প্রাণহানি হয়নি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইতিতে এই প্রাণহানির ঘটনা দারিদ্র্যের সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বাড়ার স্পষ্ট উদাহরণ।’

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে