স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাকুল্যা এলাকায় ফুট ওভারব্রিজ না থাকায় আরেকটি প্রানহানীর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ২৩/১০/২২ ইং গতরাতে আনুমানিক ১২ঃ৩০ মি: ঘটিকায় সময় এই প্রানহানীর ঘঠনা ঘটে। মৃত ব্যাক্তি পাকুল্লা পুর্বপাড়া নিবাসী ও পাকুল্লা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির দপ্তর সম্পাদক -রাশেদুজ্জামান মিয়া। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।

খোজ নিয়ে জানা যায় – গত সপ্তাহের মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় একই স্থানে রাস্তা পারাপারের সময় নিহত হয়েছেন ইলিম(৫০)যিনি পেশায় ছিলেন একজন রাজমিস্ত্রী, নিহতের বাড়ি কুমারজানি পূর্বপাড়া।

সকল পরিস্থিতি পর্যালচনায় -পাকুল্যা বাস স্টেশন এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বাস স্টেশনে ওভারব্রিজ না থাকায় গত ছয় বছরে রাস্তা পারাপারের সময় শতাধিক লোক নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক।

এর আগে ভুক্তভোগী পরিবার, এলাকাবাসী ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,ছাত্র- ছাত্রী সহ আশে পাশের প্রায় সাত থেকে আট গ্রামের মানুষ ওভারব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন,কোন ভাবেই প্রসাসনের নজরে আসছে না বিষয়টি।

আজো-অব্দি ফুট ওভারব্রিজ না থাকায় প্রতিনিয়ত জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছেন।

মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের সাটিয়াচরা ও পাকুল্যা গ্রামের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে দেশের অন্যতম ব্যস্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। মহাসড়কের ওই এলাকায় এক পাশে রয়েছে জামুর্কী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, সাবদার আলী কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক। অপর পাশে রয়েছে পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাটিয়াচরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাটিয়াচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকুল্যা মতি বিবি মসজিদ ও পাকুল্যা বাজার।

মহসড়কের বিভিন্ন স্থানে আন্ডারপাস ও উড়াল সেতু থাকলেও ব্যস্ততম ওই এলাকায় কোনো আন্ডারপাস বা উড়াল সেতু নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা এবং ওই এলাকার মানুষ দৈনন্দিন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার হচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের হাত ধরে মহাসড়ক পার করছেন। কেউ কেউ আবার না বুঝে দৌড়ে পার হচ্ছেন। কেউ পার হওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকছেন।

গল্লি গ্রামের অভিভাবক রুবি বেগম বলেন, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকেন। সব সময় বাচ্চাদের স্কুলে আনা-নেওয়ার সময় হাতে থাকে না। এখানে ওভারব্রিজ থাকলে চিন্তামুক্ত থাকতে পারতেন। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ দাবি করে আসছেন।

একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই বলেন, ব্যস্ততম এই মহাসড়কে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ পার হচ্ছেন। প্রায়ই পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। একটি ওভারব্রিজ এখানে খুবই জরুরি।

এ ব্যাপারে জানতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মৃন্ময় সাহা এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. অলিউল হোসেনের মুঠোফোনে বারবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে