2016-09-20_6_847179

ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বিশ্বের সড়কে পৌঁছে দেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর আইসিটি পেয়েছেন।
বাংলাদেশের মানুষের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগ বাস্তবায়নে অসামান্য অবদান ও প্রতিযোগিতামূলক টেকসই উন্নয়নের একটি হাতিয়ার হিসেবে আইসিটির প্রতি তার অঙ্গীকার ও অসাধারণ নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ জয়কে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে টেকসই উন্নয়নের একটি হাতিয়ার হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক আইসিটির গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে গত রাতে হোটেল মিলেনিয়ামে ওয়ার্ল্ড অর্গনাইজেশন অব গভর্নেন্স এন্ড কমপিটিটিভনেস, প্লান ট্রিফিনিও, গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট ও মার্কিন যুক্তরাষ্টের কানেকটিকাটের ইউনিভার্সিটি অব নিউ হ্যাভেন-এর স্কুল অফ বিজনেস যৌথভাবে উচ্চ পর্যায়ের এই অভ্যর্থনার আয়োজন করে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১ অধিবেশন উপলক্ষে এই বছর চালু হওয়া এই পুরস্কারটি বার্ষিক ভিত্তিতে নিয়মিত ভাবে দেয়া হবে।
প্রখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডাবি একটি জমকালো অনুষ্ঠানের জয়ের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
এল-সালভাদরের প্লান টিফিনিও’র এক্সিকিউটিভ ন্যাশনাল ডিরেক্টর ড. সার্জিও ব্রানও অভিনেতার কাছ থেকে আরেকটি পুরস্কার গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশ থেকে আগত মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রধানগণ, দূতগণ, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও খ্যাতিমান তারকারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশ থেকে কাউকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর অর্জনের লক্ষ্য রূপায়ণ সম্ভব করে তুলেছে। ‘তিনি (জয়)আমাদের যুবকদের অব্যাহতভাবে নির্ভয়ে বড় কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন মা হিসেবে প্রকৃতপক্ষে আমার ছেলে তার কাজের জন্য স্বীকৃিত পাচ্ছে দেখে আমি গর্বিত। সে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবয়নে তার কৃতিত্ব দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশে আইটি অবকাঠামো সম্প্রসারণ এবং আইটি শিক্ষিত জনশক্তি নির্মাণে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। ‘আমরা ব্রডব্যান্ড এক্সেস এবং আইটি-সক্রিয় জনসেবা খাতে ব্যাপক -পরিবর্তন লক্ষ্য করছি।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইভাবে আইসিটি দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসনের জন্য একটি সমালোচনামূলক সক্রিয়করণকারীতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ অর্জনের জন্য একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার দিকে আমাদের এগিয়ে নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের কর্মসূচি বাস্তবায়নে আইসিটি আমাদের পূর্ণ সম্ভাবনা দ্বার খুলে দিয়েছে। ’
পুরস্কার গ্রহনের পর জয় বলেন, ‘আমি এই পুরস্কার লাভ করায় খুবই সম্মানিত বোধ করছি।’
তিনি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সম্ভবনাময় শক্তি দেশের সব তরুণদের উদ্দেশ্যে এই পুরস্কার উৎসর্গ করেন।

 

B/S/S

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে