বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ট্রাফিক পুলিশ অবিরাম কষ্ট করে। মানুষ ট্রাফিক পুলিশের সমালোচনা করে, কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ রোদ, বৃষ্টি ঝড়ে একটানা কাজ করে। ৯৯৯ এর কারণে মানুষ এখন বিশ্বাস করে পুলিশের কাছে গেলেই তাদের সমস্যার সমাধান হবে।

রবিবার রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ডিএমপির পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত আইজিপিকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা দেন ডিএমপি কমিশনার।আইজিপি বলেন, সকলেই আন্তরিকতার সাথে কাজ করার কারণে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি প্রতিরোধসহ গার্মেন্টস সেক্টর তথা সারা দেশে স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে ফলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। দেশ ঈর্ষনীয় উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করতে সারা বিশ্ব যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ পুলিশ যথেষ্ট সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্বশীলতা দিয়ে থানাকে সকলের আশ্রয়স্থল বানাতে হবে। সবাই ৯-৫টা কাজ করে কিন্তু থানার দরজা কখনো বন্ধ হয় না। প্রত্যাশা তৈরির পিছনে আপনারা যেভাবে অবদান রেখেছেন ভবিষ্যতেও মানুষের আস্থা, প্রত্যাশা আর ভালোবাসার জায়গা ধরে রাখতে হবে।

করোনাকালে চরম মানবিক সংকটে নিকটজন যখন লাশ ফেলে রেখে চলে গেছে বাংলাদেশ পুলিশ নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই লাশ দাফনসহ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেবা দিয়ে গেছে। সেবা দিতে গিয়ে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে যতটুকু অর্জন তার অবদান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন একজন মানুষকে বাছাই করে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব দিয়েছেন, এজন্য কমিশনার আল্লাহ্তালার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ মানুষের জন্য কাজ করে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ববোধ ডিএমপির আছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ ভাল কাজ করলে সারা দেশ ভালো চলে। ডিএমপি এ গর্ব ও ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে থাকে। ঢাকা মহানগরে কোন অপরাধ সংগঠিত হলে ডিএমপির অফিসাররা তা উদঘাটন না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হন না।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ সব পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

bd-pratidin

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে