_91630733_08-10-16-gazipur_jmbdeath-1

আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ বাংলাদেশে শনিবার পৃথক চারটি জঙ্গি-বিরোধী অভিযানে ১২ জন মারা যাওয়ার পর পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলছেন, জেএমবির নতুন কার্যক্রম তারা প্রায় নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছেন।

তারা দাবী করছেন, জেএমবির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ঐ কর্মকর্তা বলছেন, গাজীপুরের আস্তানা থেকেই বিভিন্ন জঙ্গি অ্যাকশনের জন্য কর্মী সরবরাহ করা হতো।

বাংলাদেশের গুলশান ও শোলাকিয়া জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনী বেশ কটি বড় ধরনের জঙ্গি-বিরোধী অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু একই দিনে পৃথক চারটি অভিযান এবং এতো বেশি সংখ্যক ‘জঙ্গি’ নিহত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।

শনিবার যে চারটি অভিযান হয়েছে তার দুটি গাজীপুরে, টাঙ্গাইলে একটি ‌এবং আশুলিয়াতে আরো একটি।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে তারা এখন আঙুলের ছাপ ও নিহতদের ছবি মিলিয়ে তাদের পরিচয় ও ঠিকানা বের করার চেষ্টা করছেন।

এদের মধ্যে চার জনের নাম আংশিক শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ।

একজনের কথা গতকালই বলা হয়েছে। তিনি জেএমবির নেতৃস্থানীয় ফরিদুল ইসলাম ওরফে আকাশ ওরফে প্রভাত।

পুলিশ বলছে, জেএমবি নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে যেসব তৎপরতা চালাচ্ছিলো, যাকে তারা নব্য জেএমবি বলে আখ্যা দিচ্ছে, তার ঢাকা বিভাগের অপারেশন কমান্ডার ছিলেন এই আকাশ।

গাজীপুরে নিহত আরো দু’জনের নাম জানিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন সানাউল্লাহ ও ইব্রাহিম। নামের এটুকুই পাওয়া গেছে।

আর আশুলিয়াতে পুলিশের ভাষায়, অভিযানের সময় ছাদ থেকে পড়ে যিনি নিহত হয়েছেন তিনি আব্দুর রহমান। সংগঠনটির প্রধান অর্থ দাতা হিসেবে তাকে চিহ্নিত করছে পুলিশ।

এখনো পর্যন্ত নিহতদের কোন আত্মীয় স্বজন কোন মরদেহ শনাক্ত করতে এগিয়ে আসেন নি।

কর্মকর্তারা বলছেন, একারণে জঙ্গি-বিরোধী অভিযানে গতকালকে নিহতদের বাড়ির ঠিকানা বা আরো বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন দাবি করছেন, তারা গুলশান হামলার পর যে অভিযানগুলো চালিয়েছেন তার মধ্যে গতকালের অভিযানের পর তারা মনে করছেন, জেএমবির নতুন শক্তি ও কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষমতা তারা প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছেন।

তারা দাবি করছেন, বিশেষ করে দলের নেতৃত্বের জায়গাটি একেবারে খালি করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের আর কোনো আক্রমণ করার ক্ষমতা নেই।

গতকাল গাজীপুরের যে দুটো এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছিলো সেগুলোকে জঙ্গি আস্তানা বলে আখ্যা দেয়া হলেও পুলিশ এখন সেগুলোকে জঙ্গিদের হিউম্যান রিসোর্স সেন্টার বলে দাবি করছে।

পুলিশের কর্মকর্তারা মনে করছেন সম্ভবত এখান থেকেই তাদের ঢাকা কেন্দ্রিক কার্যক্রমগুলো পরিচালিত হতো।

তারা বলছেন, জুলাই মাসে কল্যাণপুরে, এরপর আগস্টে নারায়ণগঞ্জ, তারপর আজিমপুর এবং সর্বশেষ গাজীপুর ও টাঙ্গাইলের অভিযানের পর নতুন করে সদস্য সংগ্রহ করে আবার সংগঠিত হতে জেএমবির অনেক সময় লাগবে।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে