ডেস্ক রিপোর্ট :চলতি আর্থবছরে প্রবাসী আয় প্রথম ১০ মাসে কমেছে ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ কম বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।  গত এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছে ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার। তবে গত বছরে এসেছিল ১১৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে, ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি কমেছে। এর বিপরীতে আল-আরাফাহ ইসলামী, ডাচ্‌-বাংলা, দি সিটি ও সাউথইস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসার পরিমাণ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা জানান, প্রবাসী আয় বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কারণে আয় কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে প্রবাসী আয় বেড়েছে আল-আরাফাহ ইসলামী ও ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের। ২০১৬ সালের এপ্রিলে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছিল ৯০ লাখ ডলার, সেখানে গত এপ্রিলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে। ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে গত এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছে ৭ কোটি ২৯ লাখ ডলার, গত বছরের এপ্রিলে যার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ২২ লাখ ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে প্রবাসীরা ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার প্রবাসী আয় পাঠান। যদিও ২০১৫ সালে এসেছিল ১ হাজার ৫৩২ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরে প্রবাসী আয় কমে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ।ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে ব্যাংকিং চ্যানেল ও খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের দামের পার্থক্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন টাকার বেশি। তাই বেশি টাকার আশায় অনেকেই অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছেন। এ ছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে আয় পাঠাতে বিভিন্ন নথিপত্রের প্রয়োজন পড়ছে, তাই অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। এ কারণে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার লেনদেন ও উত্তোলন সীমা কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রি/ক/ম

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে