মারুফ সরকার , ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সারা বাংলাদেশের ন্যায় ভোলা জেলায় ১৭ টি ইউনিট কমিটি, দলের গঠনতান্ত্রিক ও সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী গত ১৮/০৮/২০ ইং তারিখ জেলা কমিটি (সাক্ষরিত) অনুমোদন দেয়।

১২ টি ইউনিট কমিটির মধ্যে কোন বিতর্ক না থাকলেও চরফ্যাশন ও মনপুরার চিত্র একটু ভিন্ন।

এ নিয়ে অনেকেই মনে করছেন চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপিতে চরফ্যাশন,র সন্তান বিএনপি,র জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের একটি প্লাটফর্ম তৈরি হতে যাচ্ছে। যা আগামী নির্বাচনে ভুমিকা রাখবে। তবে নয়ন সমর্থিত নেতাকর্মিরা বলছেন ছাত্রদলের সাংগঠনিক ও গঠনতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী আমাদের কমিটি হয়েছে এখানে নুরুল ইসলাম নয়ন এর কোন হাত নেই,তাই বিতর্কিত করার কিছু নেই। তবে কেউ যদি এই কমিটিতে বাদ পড়ে থাকেন তবে পুর্নাঙ্গ কমিটিতে তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী আসবেন।  এদিকে দীর্ঘদিন মামলা হামলা ও ত্যাগ স্বীকার করা,সাবেক এমপি আলহাজ্ব নাজিম উদ্দীন আলম সমর্থিত নেতাকর্মীরা মনে করছেন বর্তমান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সম্পাদক সাক্ষরিত চলফ্যাশন উপজেলা,পৌরসভা ও কলেজ শাখা এবং মনপুরা উপজেলা ও কলেজ শাখা কমিটিগুলো একটি অগ্রহণযোগ্য কমিটি। তবে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর নিন্দা জানানো ছারা কোন ধরনের প্রতিবাদ সভা বা প্রতিবাদ মিছিল করতে পারেনি/বা দেখা যায়নি।  এরই প্রেক্ষিতে দেখা যায় যে সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন  আলমের সুপারিশকৃত গত ১৭/০৭/২০ ইং তারিখের সাক্ষরে  উপজেলা,পৌর ও কলেজ এই তিনটি ইউনিট কমিটি পর্যায়ক্রমে  উপজেলা বিএনপি,র সাধারন সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ মিয়ার সাক্ষরিত উপজেলা ও কলেজ কমিটি অনুমোদন দেয়। এবং পৌর বিএনপি,র সভাপতি নূর-ই আলম শিকদার ও সাধারন সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সোহেল সাক্ষরিত পৌরসভা কমিটি অনুমোদন দেয়।

অপরদিকে মনপরা উপজেলায়ও একই চিত্র। সেখানেও সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলমের সুপারিশকৃত উপজেলা ও কলেজ কমিটি সেখানকার উপজেলা বিএনপি,র সভাপতি সামছুদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী সাক্ষরিত কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
এতে চরফ্যাশন বিএনপি,র রাজনীতিতে একধরনের অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সকল পর্যায়ের নেতাকর্মিরা। কেননা তারা মনে করছেন ছাত্রদল বা কোন অঙ্গসংগঠনের কমিটি ঐ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছারা গঠনতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী  মুল বিএনপি অনুমোদন করার বা দেয়ার এখতিয়ার রাখেনা। এ নিয়ে একধরনের হাস্যরসও তৈরি হয়েছে বলে দেখা যায়। এবং অনেকেই মনে করছেন এতে করে দলের লাভ এর চেয়ে ক্ষতি,র সম্ভাবনাই বেশী যা করোরই কাম্য নয়। তবে আরও জানা যায় তলে তলে সবাই মনে করছেন যে জেলা ছাত্রদল সাক্ষরিত কমিটি ই সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী সঠিক। তবে অনেককে একধরনের হতাশও হতে দেখা যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে