বজলুর রহমান বাবলু, ঢাকা থেকেঃ অদ্য ১৮ নভেম্বর ২০২০ইং বুধবার বাংলাদেশ সংযুক্ত গামেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর কার্যালয় ৭৮/এ পুরানা পল্টন এ সকাল ১১ঘটিকায় ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে গার্মেন্টস শিল্পে করোনায় (কোভিট-১৯) বেকার হওয়া শ্রমিকদের জন্য করনীয় নিয়ে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কিছু প্রস্তাবনার উপর আলোচনা করে বিজেএমইএ, বি কে এম ই এ ও শ্রম মন্ত্রনালয়ের নিকট দাবী আকারে আহ্বান জানায়। আলোচনা শেষে বাংলাদেশ সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মাদ বজলুর রহমান বাবলু জানান।
(১) করোনা কালীন  সময় মার্চ/২০২০ থেকে গার্মেন্টস শিল্পে বেকার হওয়া সকল শ্রমিকদের বিজে এম ই এ, বি কে এম ই এ ও শ্রম মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত মাসে ১২( বার ) হাজার নগদ টাকা অনুদান ও ২০০(দুই)শত টাকার মধ্যে পারিবারিক পূর্ন রেশন দিতে হবে।
(২) অন্যথায় স্ব-স্ব কর্মস্থলে পূন: যোগদান করার মাধ্যমে দুর্বীসহ বেকারত্ব জীবনের ক্ষুধা ও দারিদ্রের সৃষ্ট অভিষাপ থেকে রক্ষা করতে হবে।
(৩) কিশোর থেকে যৌবন থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ঘাম ঝরানো সততার উপার্জনে দেশের অর্থনীতি উন্নয়ন, শিল্পের বিকাশে বিশেষ উদ্দ্যেগের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে মর্যাদা শীল সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।

তিনি আরো বলেন সরকার ছোট বড় সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্রনোদনা দিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো শ্রমিকদের সচল রেখে অর্থনীতির চাকা বাঁচিয়ে রাখার উদ্দ্যেগ সময় উপযোগী।কিন্তু দুরভাগ্য হলেও সত্য করোনা মহামারিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শ্রমিক ছাটাই না করার শর্তে মালিকদের প্রতি আহ্বান রেখে শিল্প ও শ্রমিকের স্বার্থে প্রনোদনা দিয়েছেন। কিন্তু সে প্রনোদনা শ্রমিকদের কোন কল্যানে আসে নাই  প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্ম ক্ষেত্রে প্রায় অর্ধকোটি শ্রমিক বেকার হয়ে,অসম্ভব দুর্ভোগের স্বীকার হয়ে পরেছে। তাদের জন্য উল্লেখিত প্রস্তাবনা দাবীগুলো বাস্তবায়ন না করলে সামাজিক নিরাপত্তা সম্মুকির মুখে পড়তে পারে। দারিদ্রতার কারনে বিকল্প পথে চলে গেলে চুরি, ডাকাতি,অসামাজিক কর্মকান্ড বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।ফলে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থ ব্যাহত হতে পাারে।

MBRB/সাধারন সম্পাদক

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে