ডেস্ক রিপোর্টঃ সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুই মেয়র প্রার্থীর করা আবেদনের ওপর আগামীকাল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।

আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে আবেদন দুটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রেরণ করে আদেশ দেয়।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থীর হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম বাবুল শুনানি করেন।

এর আগে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিতের বিরুদ্ধে দুই মেয়র প্রার্থী আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন দাখিল করেন।
গত ৬ মে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে রুলও জারি করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে ৬ এপ্রিল রিট আবেদনটি দায়ের করেন সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। গত ৪ মার্চ সিটি করপোরেশনের সীমানা নিয়ে গেজেট জারি হয়। যেখানে শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ী, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল, পানিশাইল ও ডোমনাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

রিটের পক্ষে আইনজীবী জানান, ২০১৩ সালে এ ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তখন বিষয়টি নিয়ে এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ আবেদন করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রাহ্য না করায় হাইকোর্টে রিট করার পর আদালত আবেদনটি পুনর্বিবেচনা করতে নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে এ ছয়টি মৌজা শিমুলিয়ার মধ্যেই ছিল। নির্বাচনে আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এখন আবার এ ছয় মৌজাকে সিটিতে অন্তুর্ভুক্ত করা হয়। যেহেতু তিনি ছয়টি মৌজার ভোটেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই এ ছয়টি মৌজাকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত উক্ত আদেশ দেন।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন আগামী ১৫ মে হওয়ার কথা ছিল। হাইকোর্টের আদেশের পরপরই গাজীপুর সিটি নির্বাচন সংক্রান্ত সব ধরনের কাজ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

B/S/S/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে