ডেস্ক ডেস্কঃ আনিসুর রহমান মিলন এ সময়ে ‘গাঙচিল’ চলচ্চিত্রের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের নির্দেশনায় বর্তমানে নোয়াখালিতে ছবিটির শুটিং চলছে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ‘গাঙচিল’ উপন্যাস নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে এটি। নোয়াখালীর একটি চর ও সেখানকার মানুষের জীবনের নানা গল্প উপন্যাসটির উপজীব্য। 
মিলন বলেন, ছবিটিতে আমাকে দেখা যাবে গ্রামের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর চরিত্রে। আমার এলাকার চেয়ারম্যান দুর্নীতিগ্রস্ত থাকেন। তার সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আমার ঝামেলা লেগে থাকে। একসময় গ্রামের লোকজন আমাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করে নির্বাচনে দাঁড় করায়। এর পর তৈরি হতে থাকে নানা জটিলতা। এভাবেই এর গল্প এগিয়েছে। মিলন ছাড়াও এই ছবিতে আরো অভিনয় করছেন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা। 
এদিকে ‘ইন্দুবালা’ ও ‘সাদা কালো প্রেম’ শিরোনামের আরো দুটি ছবির শুটিং শেষ করেছেন এই অভিনেতা। তবে মিলন বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্র নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যা কমে গেছে। একজন শিল্পী হিসেবে বিষয়টি আমাকে কষ্ট দেয়। আবার কিছু চলচ্চিত্র মহরতের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচাতে হলো ভালো ছবি নির্মাণের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সিনেমা হলগুলোর সংস্কার করতে হবে। ওয়েব সিরিজেও এই অভিনেতা কাজ করছেন এখন। ঈদের ছুটির পর তিনি শুরু করেছেন ‘আলো ছায়ার কাব্য’ শিরোনামের একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন তানহা তাসনিয়া। ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ করছেন সাঞ্জিদ খান প্রিন্স। সিনেমার অন্তরালে ঘটা নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হচ্ছে এই ওয়েব সিরিজ। এর গল্পে উঠে আসবে ক্যামেরার পেছনে নায়ক-নায়িকার প্রেমসহ শুটিং ইউনিটের বিভিন্ন কর্মকান্ড। চলচ্চিত্র-ওয়েব সিরিজ এই দুটির পাশাপাশি মিলন টিভি নাটকেও বেশ ব্যস্ত। 
তার হাতে রাজু খানের ‘মধ্যবর্তিনী-২’, ফরিদুল হাসানের ‘লাকী থার্টিন’, সঞ্জিত সরকারের ‘চিটিং মাস্টার’, আল হাজেনের ‘হুলস্থুল’ ও কিরনের ‘টিপু সুলতান’সহ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটক আছে। ঈদের একাধিক নাটকেও উপস্থিতি ছিল এই অভিনেতার। টিভি নাটক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার ঈদের নাটকগুলো গল্পনির্ভর ছিল। অনেক নির্মাতাই গতানুগতিক ধারার বাইরে কাজ করার চেষ্টা করেছেন। তবে আমি মনে করি, বছরের অন্য সময়েও নাটকের গল্পের বিষয়ে নির্মাতাদের গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। খন্ড নাটকের পাশাপাশি ধারাবাহিক নাটকেও গল্পের দিকে জোর দেওয়া প্রয়োজন। মিলন নির্মাতা হিসেবেও সফল। 
এ বছর  রোজার ঈদে ‘আাব্বা উকিল ডাকবো’ শিরোনামের একটি নাটক নির্মাণ করেন তিনি। নির্মাণ নিয়ে মিলনের পরিকল্পনা কি? তিনি বলেন, অভিনয়ে আমাকে বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই ক্যামেরার পিছনে সময় দিতে পারছি না। তবে নতুন একটি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে খুব শিগগির আবার নির্মাণ করবো। তবে এবার নাটক নাকি অন্য কিছু নির্মাণ করবো সেটি এখন বলতে চাই না। এদিকে এই অভিনেতা নাট্য শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সংগঠনের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাটকের অভিনয় শিল্পীদের কাজের জায়গায় কিছু সমস্যা অনেক দিন ধরেই বিরাজ করছে। শিডিউল টাইম থেকে শুরু করে আরো কিছু বিষয়ে কোনো নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে না। এছাড়া সরকারের কাছে থেকে আমাদের পাওয়ার অনেক কিছু আছে। ছোট পর্দার শিল্পীদের কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমি কাজ করছি। আশা করছি শিল্পীদের জন্য ভালো কিছু করতে পারব।

V/D/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে