cool-house

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৮ই এপ্রিল১৬)-স্বাস্থ ও চিকিৎসা প্রতিবেদনঃ গরমে হাসফাঁস অবস্থা। এর মধ্য ঘরে এসি না থাকলে অবস্থা আরও শোচনীয়।

সারা দিনের ক্লান্তির পর রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে মেজাজ যেমন বিগ়ড়ে থাকে, শরীরও খারাপ হয়। জেনে নিন এসি না থাকলেও ঘর ঠান্ডা রাখবেন কী ভাবে।–

পর্দা, ব্লাইন্ড: গরম কালে দিনের বেলা সব সময় ভারী পর্দা বা উইন্ডো ব্লাইন্ড টেনে রাখুন। এতে ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা কম রাখতে পারবেন। দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে দেওয়ালে জানলা থাকলে অবশ্যই পর্দা টেনে রাখুন।

দরজা: দিনের বেলা যদি ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন তাহলে বাতাস চলাচল করতে পারবে না। এতে রাতেও ঘর গুমোট হয়ে থাকবে। দরজা খুলে রাখুন।

বরফ-পাখা: পাখার কোনাকুনি এক বাটি বরফ রাখুন। কিছু ক্ষণ পর দেখবেন ঘরে ঠান্ডা বাতাস ভরে গেছে।

সুতির চাদর: গরম কালে বিছানায় সাদা বা হালকা রঙের সুতির চাদর পাতলে বিছানা ঠান্ডা থাকবে। নিয়মিত বদলান বেডকভার ও বেডশিট। এতে ঠান্ডা শুধু নয়, ফ্রেশও লাগবে।

পাখা: ঘরের পাখা এমন ভাবে সেট করুন যাতে ক্লকওয়াইজের বদলে বেশি জোরে অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ ঘোরে। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। ঋতু অনুযায়ী পাখা ঘোরার দিক বদলান।

পূর্ব-পশ্চিম: এই দুই দিকের জানলায় সানশেড লাগান। ঘর গরম করবে এমন কাজ করবেন না।

বাথরুম, রান্নাঘর: বাথরুম, রান্নাঘরের এক্সহস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখুন। এতে ভিতরের গুমোট, গরম বাতাস বেরিয়ে যাবে।

জানলা: দিনে বন্ধ রাখুন। রাতে শোওয়ার সময় জানলা খুলে শোন। এতে ঘরে হাওয়া চলাচল করবে।

জোরালো আলো: ঘরে জোরালো আলো জ্বালিয়ে রাখলে গরম বাড়বে। এই সময় খুব প্রয়োজন না হলে ঘরে জোরালো আলো জ্বালবেন না। ডিম লাইট বা টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করুন।

গ্রিল: গরম কালে ঘরে গ্যাস, স্টোভ জ্বালালে বেশি গরম হয়। পারলে খোলা জায়গায় গ্রিল করুন। মাইক্রোওয়েভে রান্না করুন।

ইনসুলেটেড ফিল্ম: জানলায় ইনসুলেটেড ফিল্ম বা ভাইন লাগিয়ে নিন। এতে রোদের তাপ থেকে রক্ষা পাবেন।

গাছ: বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান। গাছের ছায়ায় ঘর যেমন তাপমুক্ত থাকবে, তেমনই অক্সিজেনও চলাচল করতে পারবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে