বিএনপি আন্দোলন করে বলেই তো নেতাকর্মীদের নামে ৩৫  লাখ মামলা বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

তিনি বলেন, এদেশে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবার আন্দোলন হবে।আমরা সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আন্দোলনের পরে নির্বাচন হবে। খালেদা জিয়া আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক এই বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরীমনির ঘটনা, আর মন্দিরে কোরআন রাখার ঘটনা একই। সরকার কখন কোন রঙ ধারণ করে তার  ঠিক নেই। মন্দিরে কোনো হিন্দু কোরআন রাখবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। আবার কোনো মুসলমান রাখবে- সেটাও বিশ্বাস করি না। আসলে যারা জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, তারাই এ কাজ করেছে।

বিএনপির সম্প্রীতি মিছিলেও সরকার বাধা দেয় উল্লেখ করে দলটির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আজ আমরা সম্প্রীতির মিছিলও করতে পারি না। সেখান থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে আন্দোলন করা খুব কঠিন হয়ে গেছে। একটা সময় আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। তখন রিকশাওয়ালা রিকশা রেখে, দোকানদার দোকান বন্ধ করে মাঠে নেমে আসতেন। এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন আন্দোলনে নামার আগেই ভয় চাপে, ‘যদি আমি গুলিবিদ্ধ হই, কিংবা গ্রেপ্তার হই, তাহলে আমার পরিবারের কী হবে’। অথচ আইয়ুব খানের সময়েও আমরা তার বিরুদ্ধে মিছিল করেছি। তখনও পুলিশের কাছ থেকে আমাদের অনুমতি নেওয়া লাগেনি।

তিনি বলেন, ৭১ সালে জিয়াউর রহমান প্রথম বিদ্রোহ করেছেন। মানুষ তখন আনন্দিত হয়েছিল যে, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী যুদ্ধে নেমেছে। এখন নানা কথা বলা হয়। আমরা তো বেঁচে আছি। আমরা তো এই ইতিহাস জানি।   জনগণও জানে কে যুদ্ধ করেছে, আর কে করেনি। বিএনপি রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধাদের দল। মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার সবচেয়ে বেশি ছিল বিএনপিতে। আর আওয়ামী লীগ তো যুদ্ধের সময় ছিল ভারতে।

নেতাকর্মীদের আন্দোলনে নামার আহবান জানিয়ে টুকু বলেন, আমাদের শক্ত আন্দোলনে নামতে হবে। যদি আমরা এ রাস্তা থেকে ফিরে আসি, তাহলে আমাদেরকে দাস হয়ে থাকতে হবে। এজন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনেক চিন্তা করেই আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেবেন। কোনো বিদেশি সরকার আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে, রাজপথ গরম করতে হবে। আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

এলডিপির সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসির সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে