মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ এক সময় ক্ষুদে মেয়েরা ফুটবল মাঠে নামতে লজ্জা পেত, কিন্তু প্রধান শিক্ষকের উৎসাহে ফুটবল খেলে প্রায়  ২ ডজন ট্রফি ঘড়ে তুলেছে নিতাই বাড়ীমধুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাথর্ীরা।
 এখন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার রূপালী স্বপ্ন দেখেন তাঁর ক্ষুদে ক্রীড়ামোদীড়া যেন জাতীয় পযার্য়ে ফাইনাল খেলে।বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা প্রাথমিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুণার্মেন্টে স্কুল পযার্য়ে আর্থিক কোন বরাদ্দ না থাকলেও জয়ের প্রত্যাশায় মেতে থাকেন প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার রূপালী। তিনি বালক-বালিকাদের সব সময় উৎসাহ দেন ফুটবল খেলার জন্য। এক সময় মেয়েরা ফুটবল খেলতে লজ্জা পেত। তাদের সেই লজ্জা দূর করেছেন প্রধান শিক্ষক। এখন সেই ক্ষুদে মেয়েরা মাঠে দুদার্ন্ত খেলে বার বার জয়ের মালা ছিনিয়ে আনছে।
 প্রধান শিক্ষক রূপালীও পিছিয়ে নেই । দু’হাতে খরচ করছেন। কোথাও যেন বাঁধে না তাঁর। আর্থিক লাভের হিসাব তাঁর কাছে গৌণ। জৈষ্ট ও আশ্বিনের তপ্ত রোদে প্রতিপক্ষের সাথে ক্ষুদে খেলোয়ারদের যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় তখন মাঠের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দাঁপিয়ে বেড়ান কামরুন্নাহার রূপালী । ক্লান্তি যেন তাঁকে স্পর্শ করে না। হার নয়, বিজয়টা যেন তাঁকে পেতেই হবে। ক্ষুদে খেলোয়ারদের কোচারও তিনি। কখনও উচ্চশব্দে হাঁকেন খেলোয়ারী নির্দেশনা। রূপালীর ক্লান্তিহীন শ্রম বৃথা যায়নি। প্রায় দু’ ডজন বিজয়ের ট্রফি এখন তাঁর স্কুলে শোভাবর্ধন করছে। ২০১৭ সালে তাঁর বালিকা দলের ইউনিয়ন ও উপজেলা পযার্য়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। জেলা পযার্য়ে রানার আপ হয় তাঁর ক্ষুদে বালিকা দল। ২০১৮ সালে বালিকা দলকে নিয়ে একই ফলাফল অর্জন করেন। এ বছর তাঁর বালক ও বালিকা দল ইউনিয়ন ও উপজেলা পযার্য়ে ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। সমাপনী পরীক্ষার আগেই জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পযার্য় এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে ।
এই ক্ষুদে বাহিনী নিয়ে আগামীতে পরবর্তী প্রতিটি খেলায় বিজয় ছিনিয়ে নিতে চান তিনি। এ ব্যাপারে রূপালীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘এ খেলায় সরকারী বরাদ্দ নেই তো কি হয়েছে?  আগামীতে জাতীয় পযার্য়ে ফাইনাল খেলায় অবতীর্ণ হতে আমি আশাবাদী। তিনি আরো বলেন, আমার দলের কোন কোচার নেই, আমি নিজেই কোচার। ইউটিউব, ভিডিও ক্লিপ ও বই পড়ে তাদের আমি অনুশীলন করিয়েছি। তবে সরকারী সাহায্য পেলে একজন ভাল কোচার দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিলে আরো মানসম্মত খেলা উপহার দেয়া সম্ভব হতো।’  

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে