মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ কৃষকের সাথে ধোকা দিয়ে বরাদ্দকৃত সার অন্যত্র বিক্রি করছে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বি সি আই সি অনুমোদিত সার ডিলার মের্সাস রনজিত কুমার কুন্ডু এন্ড ব্রাদার্স। প্রোঃ রাজিব কুমার কুন্ডু তিনি ইউরিয়া, টি এস পি, এম ও পি, ডি এ পি সার সরবারাহ ও বিক্রি করার অনুমোতি পেয়েছেন। কিন্তু তিনি তা কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের না দিয়ে ডিমলা গোমনাতীতে বিক্রি করে দেন।

গত ১২ নভেম্বর (শুক্রবার) বিকাল ৪ টার সময় নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার বরাদ্ধকৃত টি এস পি সার ডোমার গোমনাতী বাজারের হান্নান ট্রের্ডাসের মালিক রশিদুল ইসলামের কাছে ১ শত ৫০ টি(৫০ কেজির) বস্থা বিক্রি করে দেয় কিশোরগঞ্জ উপজেলার রাজিব কুমার কুন্ডু।
যে ট্রাকে নিয়ে যাচ্ছিল তার নাম্বরঃ ঢাকা মেট্রো- ড ১৪-৭৪২৩।

গোপনসূত্রে জানতে পেরে তা সরজমিনে, দেখার জন্য ট্রাকের পিছু নিয়ে খোকার বাজার এলাকায় ট্রাকটি দেখা পাওয়া যায়। ড্রাইভারকে থামাতে বললে তিনি ট্রাকটি থামান। ট্রাকের ড্রাইভার গোমনাতী এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে হামিদুল ইসলাম। ট্রাকের মালিক নূর হোসেন তার বাড়ীও গোমনাতীতে। ড্রাইভারের
কাছে সারের চালান দেখতে চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে চালান বা কোন কাগজ নাই।

তখন তাকে প্রশ্ন করা হয় সারগুলো কোথায় থেকে এসেছে আর যাবে কোথায়। ড্রাইভার বলেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা রাজিব কুমার কুন্ডুর কাজ থেকে ডোমার গোমনাতী বাজারে নিয়ে যাচ্ছে। কত গুলো বস্তা নিয়ে যাচ্ছেন বললে তিনি বলেন ১ শত ৫০ বস্তা। কি সার বললে বলে টি এস পি সার কিশোরগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে তিনি ট্রাকে তুলে নেন। যেমন কিশোরগঞ্জ বানিয়া পাড়া থেকে ১শত ১২ বস্তা, মাছ বাজারের কাছে ৩ বস্তা ও হাসপাতার পাড় হয়ে ব্রিজের কাছ থেকে ৩৫ বস্তা মোট ১ শত ৫০ বস্তা টি এস পি সার নিয়ে যাচ্ছিলেন।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তুষার কান্তিকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি পুটিমারী ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা বি এস পরেষ চন্দ্রকে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তৎক্ষণে ট্রাকটি চলে যায়।

এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তার হাবিবুর রহমানের মুঠোফোনে কয়েক বার ফোন করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে