কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী থেকেঃ নীলফামারী করোনার নীল বিষে বিষাদময় করে তুলেছে মানুষের জীবনকে। আর তা  নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধে চলছে লকডাউন।এতে ঘরবন্দি জীবনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। এই দুর্যোগময় মুহূর্তে পরিবারের আর ৪ জনের রুটি-রুজির সন্ধানে নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপি’র কেশবা যুগি পাড়া গ্রামের   ১২ বছরের শিশু শিক্ষার্থী বিজয় এখন ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা।যে সময়ে এলাকার আট-দশটা ছেলে পড়ার টেবিলে বসে বইয়ের পাতায় নিমগ্ন বা অবসরে পাড়ার ডানপিটে ছেলেরা খোশগল্পে মত্ত, ঠিক সে সময় বিজয় জীবিকার ঝান্ডা এক হাতে ফ্লাক্স ভর্তি চা, অন্য হাতে পানি ভর্তি বালতি আর বিস্কুটের ভইম। ছোট দুই কোমল হাতে ভারী ফ্লাক্স আর বালতি বয়ে নিতে হয় শিশুটিকে।

সরেজমিনে বিজয় জানান,দুই ভাই বোনের মধ্যে সে সবার ছোট এবং কিশোরগঞ্জ কিন্ডার গার্ডেন  পাবলিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। বাবা মহেশ চন্দ্র পেশায় একজন হোটেল শ্রমিক,মা অন্যের বাড়িতে করেন ঝিয়ের কাজ।এভাবে চলে লেখাপড়াসহ পরিবারের অন্নের যোগান।কিন্তু বর্তমানে করোনার কালো থাবায় বাবা-মা পেশা হারিয়ে ঘরবন্দী  হয়ে পড়েছেন। কিন্তু পেট তো আর ঘর বন্দী হয়ে পড়েনি। তাই বাবা-মাসহ বোনের মুখে দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতে এ পেশায় নেমে পড়েছি। প্রতিদিন দিন-রাত সমান তালে উপজেলা শহরের অলি-গলি ফেরি করে  ২ ফ্লাক্স  চা বিক্রি করে যা খরচবাদে ৩শ থেকে ৩৫০টাকা আয় হয়। যা দিয়ে কোন রকমে চলছে বাবা-মার সংসার। এদিকে কঠোর লকডাউনে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় বেড়েছে লাল চায়ের কদর। আর অনেকে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ধুঁকছে লাল চায়ের দিকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে