মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেশবা ময়দানের ঘাটে যমুনেশ্বরী নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য চার বছর আগে সীমানা নির্ধারনসহ একাধিকবার মাটি পরীক্ষা করা হয় । কিন্তু এ পর্যন্ত সেতুটি আর হয়নি। ফলে ৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছে ।
অপর দিকে নদীতে ব্রীজ নির্মান না করার কারনে নদীর পুর্ব দিকের ৩ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষসহ শিশু বৃদ্ধরা জীবনের ঝুকি নিয়ে নদীর পশ্চিম দিকে রুপালি কেশবা ইদগাঁ মাঠে পবিত্র ইদের নামাজ আদায় করতে যান।
গতকাল সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কেশবা ময়দানের ঘাটে সেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করছেন এলাকাবাসী। এসময় সেতু পার হওয়ার সময় কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর থেকে যমুনেশ্বরী নদীর উপর সেতু নির্মিত না হওয়ায় এলাকাবাসী বন্যার সময় প্রতি বছর নিজ অর্থায়নে সেতু নির্মান করে পারাপার করে আসছে । গত কয়েকবারের নির্বাচনে সদর ইউনিয়নের কেশবা, গুচ্ছগ্রাম, পুটিমারী, শ্বশানবাজার, গদা কোরানীপাড়া, গদা ডাংগা পাড়ার স্থানীয় ভোটাররা ওই স্থানে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে ভোট প্রদান করে আসলেও নির্বাচিত হওয়ার পর জনপ্রতিনিধিগন তাদের আর কোন খবর রাখেনা। গত ২০১৪ সালে নীলফামারী ৪ আসনে জার্তীয় পার্টি থেকে আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর কেশবা ময়দানের ঘাটে সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশল অফিসের লোকজন গিয়ে সিমানা নির্ধারন ও মাটি পরীক্ষা করার পর এলাকাবাসীর মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু মাপ যোগের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সেতু আর হয়নি। তাই এলাকাবাসীর দাবি বর্তমান জাতীয়পার্টি তথা মহাজোট থেকে নির্বাচিত এমপি আহসান আদেলুর রহমান আদেল গ্রামবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ময়দানের ঘাটে একটি ব্রীজ নির্মান করে দেবেন।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ বলেন, ওই স্থানে ব্রীজ নির্মানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেলের সাথে যোগাযোগ করে খুব দ্রুত ব্রীজ নির্মানের ব্যাবস্থা করা হবে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী এস এম কেরামত আলী নান্নু বলেন, আজকে আমার অফিসের শেষ কর্মদিবস। আজকে থেকে আমি অবসরে যাচ্ছি। তবে ওই জায়গায় ব্রীজ নির্মানের জন্য বরাদ্দ চেয়ে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে