মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার  দুইটি ইউনিয়নে চলমান সাকার্সের নামে অশ্লীল নৃত্য আর বিকট শব্দের গান প্রদর্শন করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, সেই অশ্লীল নৃত্যের ভিডিও স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। দুই সাকার্সের প্রতিযোগীতামুলক প্রদর্শনীতে দর্শক টানতে অশ্লীল নৃত্যকে প্রাধান্য দিয়েছে আয়োজকরা। পাশাপাশি এই সাকার্স ঘিরে উপজেলায় চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। 
মঙ্গলবার এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ফুটবল মাঠে ও বড়ভিটা ইউনিয়ন মাদ্রাসা মাঠে দুইটি সাকার্স প্রদর্শন চলছে। গাড়াগ্রামের শরিফাবাদ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষাথর্ীরা অভিযোগ করে জানায় আমাদের স্কুলের পাশের্ব দি সজিব সাকার্সের প্যান্ডেল। বেলা আড়াইটা ,সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় তিনটি করে শো চালানো হচ্ছে। বিকট শব্দ আর অশ্লীল নৃত্যে ভরা এই সাকার্স এলাকার পরিবেশ বিনস্ট করছে।
অপর দিকে বড়ভিটায় চলছে দি লাকী সাকার্স। এই সাকার্স প্যান্ডেলের ধারেই বড়ভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। সেখানকার শিক্ষাথর্ীরাও একই অভিযোগ করেছে। তারা মন্তব্য করে বলছে লিখাপড়ায় বিঘ্নিত ঘটছে যেমন তেমনি অশ্লীল নৃত্যু ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে যুব সমাজকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই এলাকার জাতীয় পার্টি ও ছাত্রলীগের নেতারা এই দুই সাকার্স পরিচালনা করছে। গাড়াগ্রামে সজিব সাকার্সকে ১১ সেপ্টেম্বর হতে ২৫ সেপ্টেম্বর ও বড়ভিটায় লাকী সাকার্সকে ৬ সেপ্টেম্বর হতে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শো প্রদর্শনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুমোদন নেয়া হয়। 
কিন্তু সাকার্স পরিচালনাকারীরা সাকার্স প্রদর্শনের শর্ত ভঙ্গ করে অশ্লীল নৃত্যু ও বিকট শব্দে গান পরিবেশন করছে।  
এ ব্যাপারে সাকার্স আয়োজকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তারা কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু শিক্ষক বলেন আমরা স্কুল মাদ্রাসার ধারে সাকার্সের প্যান্ডেল না করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু  উল্টা আমাদের হুমকি-ধমক দেয়া হয়েছে। 
এদিকে ওই সাকার্স ঘিরে এলাকায় বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি গরু চুরি যায়। চুরি হয় উপজেলা হাসপাতালের দুই উপজেলা কমিউনিটি মেডিকেলে অফিসারের বাড়ি। এ ছাড়া বড়ভিটা ও গাড়াগ্রাম বাজারের বিভিন্ন দোকনেও চুরি ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ সাকার্সের প্যান্ডেল ঘিরে সেখানে মাদকের রমরমা ব্যবসাও চলছে। তাই এলাকাবাসী দ্রুত দুই সাকার্স প্রদর্শনী বন্ধের দাবি করেছে।
এ ব্যাপারে কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশীদ বলেন, সাকার্স নিয়ে শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবগণ আমাদেরকে লিখিত কোন অভিযোগ করেনি।  সাকার্সের কারনে চুরি বৃদ্ধি সম্র্পকে ওসি বলেন তিনটি অভিযোগ পেয়েছি, মামলা হয়েছে।#সাথে ছবি আছে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে