মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) থেকেঃ কিশোরগঞ্জে সহকারী কমিশনার (ভূমি)সহ ১৯টি প্রশাসনিক পদ শূন্য রয়েছে। ফলে প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সংশ্লিষ্ট  দপ্তরগুলোতে সেবা পেতে নানা হয়রানি ও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন  উপজেলাবাসী। জানা গেছে, গত ২ জানুয়ারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নীলফামারী সদরে বদলি হয়ে যান।
এরপর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মেহেদী ২ জানুয়ারি থেকে ৬ জুন পর্যন্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বদলির পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে কোনো লোক নিয়োগ না দেয়ায় ২৪ জুন থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও শূন্য পদগুলোর মধ্যে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ট্রেনিংয়ে থাকায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও ৯ জন মেডিক্যাল কর্মকর্তা ও চারজন কনসালটেন্টের পদ শূন্য রয়েছে। এ সব দফতরে পাশের উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তারা সপ্তাহে দু-একদিন এসে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কালাম আজাদ বলেন, শূন্য পদের বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সরকারি দপ্তরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলায় শীঘ্রই যাতে শূন্য পদ পূরণ করে জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা যায় সে ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে