কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী থেকেঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ধাইজান নদী পূর্ণ খনন কাজে সরকারী নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এবং প্রাক্কলন অনুযায়ী নদী খননের ম্যাপ অনুসরণ না করে স্বেচ্ছাচারীভাবে মামলা-মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত এস.ও এবং এসডিই (পানি উন্নয়ন বোর্ড) খনন কাজ শুরু করে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না। নদী খননে নদী সংলগ্ন আবাদী জমি ও ফসল নষ্ঠ হবার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ্য ওই সব জমির নিরিহ মালিকগণ নদী খননে বাঁধা প্রদান করেন। এমনকি তারা মানববন্ধন করবেন বলে জানান।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৭ কিলোমিটার ধাইজান নদী পূর্ণ খননের কাজ এখন পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার খনন কাজ শেষ করেছেন প্রকল্পের চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদার। সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ধাইজান নদী পূর্ন খননের কাজটি পায় টেন্ডারের মাধ্যমে ডন কর্পোরেশনের পার্টনার মাসুদ করিম। কাজটির বরাদ্দ ধরা হয় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।

ওই এলাকার চাঁদখানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান দুলাল, মেম্বার লুৎফার রহমান, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাবু, আব্দুল হামিদ ভাসানী ও মেম্বার আশিয়ার রহমান জানায় নদীর চর এলাকার অনেক লোকের পৈত্রিক জমি ও ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই মূল ঠিকাদারের কাছে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকগণ ক্ষতিপূরণের কিছু টাকা দাবী করছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে