মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জে ভুয়া মালিকানা দাবী করে জমি দখলের পায়তারা করছে একটি কুচক্রি পরিবার।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের পানিয়াল পুকুর পূর্বপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল লতিফের ছেলে নুর হোসেন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৮৩ শতাংশ জমি যা বিগত ৪৮ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে চাষাবাদ করছেন।
একই গ্রামের মৃত তমর উদ্দিনের ছেলে আজিজুল ইসলাম ভুয়া মালিকানা দাবী করে কিছু অসৎ ব্যাক্তিকে টাকার বিনিময়ে স্বাক্ষী করে জমি দখলের জন্য বিজ্ঞ আমলী আদালত কিশোরগঞ্জ, নীলফামারীতে গত ২৪ মার্চ ২০১৯ সালে ২৭/১৯ নম্বর একটি মোকাদ্দমা দায়ের করেন। মোকাদ্দমায় বলা হয় একই গ্রামের মৃত কেকারু মামুদের ছেলে আঃ লতিফ ও তার ছেলে নুর হোসেন ৭৩ শতাংশ জমির বাবদ তার কাছ থেকে ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছে যা সম্পূর্নভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেছেন আঃ লতিফ ও তার ছেলে নুর হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,পানিয়াল পুকুর মৌজার জে এল নং-১৪, খতিয়ান নং-৭৩৩, দাগ নং-৩৫৬৪ ও ৩৫৬৭ দাগে ৯৬ শতাংশের মধ্যে ৮৩ শতাংশ জমির, ১৯৯৪ সালে মৃত শাহানোত উল্লাহর ছেলে আফছার কেরানীর কাছ থেকে মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে কেকারু মামুদ(আঃ লতিফের বাবা) ৩৫৬৪ দাগে ৪১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ও ১৯৫০ সালে মৃত শ্রী বদরী রাম মুচীর ছেলে মুরারী রাম মুচীর কাছে ৩৫৬৭ দাগে ৫৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন আঃ লতিফ উরফে নবীর আলী। পৈত্রিক মূলে তার ছেলে নুর হোসেন ওই জমিতে চাষাবাদ ও ভোগদখল করে খাচ্ছেন ।
কিন্তু তমর উদ্দিনের ছেলে আজিজুল জাল স্টাম্ভে স্বাক্ষর দেখিয়ে ভুয়া মালিকানা দাবী করে। তারা কয়েক ভাই হওয়ায় জোর পূর্বকভাবে নুর হোসেনের জমিতে দখল নেয়ার চেষ্টা করেন। নুর হোসেন উপায় অন্তর না পেয়ে ২০১৮ সালে ১৩ ডিসেম্বর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট আদালত নীলফামারীতে ২২০/১৮ নম্বর পিটিশন দায়ের করেন। যা এখন চলমান রয়েছে । দায়ের করা পিটিশনের ফলে আদালত ওই জমির উপর ১৪৪ ও ১৪৫ ধারা জারি করেন। আদালতের জারি করা আইন অমান্য করে আজিজুল ইসলাম ও তার দলবল ওই জমিতে থাকা ত্রিশ হাজার টাকার মূল্যের একটি বটগাছ জোরপূর্বক ভাবে কর্তন করে নিয়ে যায়। আজিলুল ইসলাম একজন অবসর প্রাপ্ত সৈনিক,তার দুই ছেলে সেনাবাহিনিতে ও একটি মেয়ে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত থাকার কারনে তিনি নুর হোসেন ও তার বাবা আঃ লতিফকে জমি ছেড়ে দিতে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও জেল হাজতে পাঠায় দিবে বলে হুমকি প্রর্দশন করেন।
নুর হোসেন গাছের জন্য কিশোরগঞ্জ থানায় ছয়জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪/৫৩। তারিখ-২৫/০৪/১৯ইং। কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ বটগাছটি জব্দ করে নিয়ে আসেন যা এখন থানায় রয়েছে। পরে আজিজুল ইসলাম ওই বটগাছের উপর ভুয়া মালিকানা দাবী করে গত ০২/০৫/১৯ ইং তারিখেএকটি কাউন্টার মামলা করেন। মামলা নং-০১/৫৫।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার এস আই ফজলুল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান মামলা দু’টি তদন্তাধিন রয়েছে। আপোষ মিমাংসা না হলে আইনের মাধ্যমে যা হবার হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে