কাওছার হামিদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টানা দেড় সপ্তাহ ধরে বর্ষনের ফলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে। ফলে জন জীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি এবং খেটে খাওয়া দিন মজুর শ্রেনির নিম্নাঞ্চল আয়ের মানুষরা পড়েছে চরম বিপাকে। উপজেলার গাড়াগ্রাম,মাগুড়া, রনচন্ডি, বড়ভিটা, কিশোরগঞ্জসদর, পুটিমারী, চাঁদখানা, বাহাগিলি, নিতাই ৯টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চল গুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। টানা বর্ষনের ফলে বিভিন্ন ধরনের সবজী, আদা, বেগুন, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সবজী ক্ষেত ও অন্যান্য ফসলের মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে। অনেক ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। টানা বর্ষন হওয়ার পরও ভ্যাপসা গরম কমছে না। ইউনিয়নের কাঁচা সড়ক গুলো হাটু পানি সহ কোথাও কাদা পানিতে পরিনত হয়েছে। এমনিতেই ভ্যাপসা গরম ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত গেলে আছে তার উপর বিদ্যুতের লোডশেডিং, হালকা বৃষ্টি কিংবা সামান্য বাতাস হলে শুরু হয় বিদ্যুতের লুলোচুরি, বন্ধ করে দেযা হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। টানা দেড় সপ্তাহ ধরে হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টি লেগে থাকার কারনে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেতে পারছেন না। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে উপস্থিতির সংখ্যা দিন দিন কমিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য টানা বর্ষনের ফলে সড়ক-মহাসড়ক গুলোতে যানবহন চলাচলে বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষের পাশাপাশি চাকুরীজীবিদের কর্মস্থলে যেতে সমস্যা হচ্ছে, সঠিক সময় তারা কর্মস্থলে পৌছাতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়াও চলাচলের ক্ষেত্রে রিকসা অটো-বাইক সহ ছোট-খাটো যানবাহন গুলোতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে