কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: মরিতে চাহিনা আমি এই সুন্দর ভুবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই, এটাই চিরন্তন বাণী।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে সহায় সম্বলহীন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটি এনামুল হক। তিনি উপজেলার রনচন্ডি ইউপির অবিলের বাজার পাড়ার বাসিন্দা জহুর আলীর ছেলে।এনামুলের স্ত্রী,৩ সন্তান,বৃদ্ধ বাবা-মাসহ ৭ সদস্যর পরিবারকে নিয়ে সরকারি সড়কের ধারে এক ঝুঁকিপূর্ণ জীর্ণপল্লীতে বসবাস। এত সদস্যের মুখে দু-মুঠো অন্ন,বস্ত্র তুলে দিতে হন্নদশা।

একবেলা মিললে আর এক বেলা উপোস থাকতে হয়। ঘরে ১৩ বছরের শিশু সন্তান ইব্রাহিম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে অগ্নিদগ্ধের মত আপাদমস্তক ঝলসে যাওয়া এক জটিল চর্মরোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে ছেলে ইব্রাহিমের ভাগ্যে ছোটেনি উন্নত চিকিসা। গ্রামের ঝাড়ফুক ও টোটকা-ফোটকা চিকিৎসাই ভরসা।

এতে দিনের পর দিন গা ঝলসে যাওয়া চামড়ার পোড়া গন্ধ,রোগের যন্ত্রনার কাতরানি নিয়ে বিছানায় শয্যাষায়ী।যে বয়সে থাকার কথা স্কুলের করিডোরে, খেলার সাথীদের সাথে হইহুল্লড়ে। কিন্তু বেড়ে উঠা শৈশব আর ভবিষ্যৎ যেন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে জীবননাশি চর্মরোগ।

দারিদ্রের কষাঘাত আর নারী ছেড়াধন সন্তানের এমন করণ দৃশ্য বাবা-মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ,আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।এ যেন পদ্মাপারের সেই কেতুপুর গ্রামের এক প্রতিচ্ছবি। কুবের, মালা আর কপিলাদের মত দারিদ্র আর দুঃখ-শোকে নিত্যদিন কাটে তার পরিবার। ’মানুষ মানুষের জন্য।

তাই আপনাদের এতটুকু সহানুভূতিতে বেঁচে যেতে পারে শিশুটির জীবন। ছেলেকে বাঁচার আকুতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তবানদের নিকট সাহায্য কামনা করেছেন হতভাগা পিতা এনামুল হক ও মাতা কাজলি বেগম।তারা বলেন, গ্রামের কিছু মানুষের কাছে হাত পেতে টোটকা-ফোটকা চিকিৎসা দিয়ে কোন রকমে ছেলের জীবন বেঁচে আছে।উন্মত চিকিৎসার অভাবে দিন দিন শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। অনেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর অথবা ঢাকা নিয়ে চিকিৎসার কথা বললেও তা সম্ভব হয়নি। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই ইব্রাহিমকে বাঁচাতে সাহায্য হাত বাড়াতে দেশবাসীর প্রতি সাহায্যের আবেদন করছে তার পরিবার সাহায্য পাঠানোর বিকাশ নম্বর-০১৭০১৫৭৬০২৫.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে