মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) কার্যালয়টি দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম। ঝুঁকিপুর্ন ভবন, খসে পড়ছে আন্তর, বেড়িয়ে গেছে ছাদের লোহার রড, বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ে ভিজে নষ্ট হচ্ছে রেকর্ড রুমের জরুরী গুরত্বপুর্ন কাগজপত্র। ফলে যে কোন মুহুত্বে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংখা করছে অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এছাড়াও সহকারী কমিশনার (ভুমি ) কার্যালয়টি লোকবল সংকটের কারনে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সহকারী কমিশনার ভুমি কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, সহকারী কমিশনার (ভুমি) কার্যালয়টিতে সহকারী কমিশনার সহ মোট ১৬ টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে একজন সার্ভেযার, দুইজন জারিকারক, একজন অফিস সহকারী, একজন চেনম্যান, একজন কানুনগো, একজন সার্টিফিকেট পেসকার, একজন সার্টিফিকেট সহকারী, একজন ক্রেডিট সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষারিক পদসহ ১০ পদ র্দীঘদিন থেকে শুন্য রয়েছে।
রবিবার উপজেলা সহাকারী কমিশনারের কার্যালয়টিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জরার্জিণ ভবনে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে, পুরোনো ভবনের ছাদ চুইয়ে বৃষ্টি পড়ছে ভবনের অভ্যান্তরে। মাঝেমধ্যে বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হলে মুল্যবান কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। ভিতরের রুমগুলোর ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে এবং দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ফাটল।
জানা গেছে, ১৯৯০ সালে ৫ কক্ষ বিশিষ্ট একটি একতলা ভবন নির্মাণ করে সরকার, নির্মাণের পর থেকে কোন ধরনের সংস্কার না করার কারনে অনেকটা জীবনের ঝুকি নিয়ে চলছে অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বেলায়েত হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি সকল সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি নিজে খুব ভয়ে অফিস করি। না জানি কখন ছাদ ভেঙ্গে মাথায় পড়ে। সমস্যার বিষয়গুলো নিয়ে আমার আগের কর্মকর্তারা এবং আমি লিখিতভাবে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে