মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ জমি সংক্রান্ত জঠিলতার কারণে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাজেডুমুরিয়া ২ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারতলা ভবন নিমার্ণ কাজের কাযার্দেশ পাওয়ার ৫ মাসেও নিমার্ণ কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। 
রবিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্কুল মাঠে নির্মাণ সামগ্রী আনলেও কাজ শুরু করতে পারছেনা। ফলে ওই বিদ্যালয়ের  ভবন নিমার্ণের জন্য বরাদ্দ দেয়া এক কোটি ১৮ লাখ  টাকা ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী অবিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। 
উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে,বিদ্যালয়টির শ্রেণী কক্ষ সংকটের কারণে ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি- ৪ প্রকল্পের আওতায় বাজেডুমুরিয়া ২ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির চারতলা ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে একতলা ভবন নিমার্ণ কাজ করার সম্পন্ন করার জন্য এক কোটি ১৮ লাখ ৫ হাজার ২৯৮ টাকা বরাদ্দ ধরে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে কাজটি পায় ঢাকা পশ্চিম রামপুরার মেসার্স সুনাম এন্টার প্রাইজ। 
উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর থেকে গত ১৬/০৯/২০২০ ইং তারিখে ভবন নিমার্ণ কাজ শুরুর জন্য কাযার্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু বিদ্যালয়টির জমি সংক্রান্ত জঠিলতার কারণে কাযার্দেশ প্রদানের ৫ মাসেও কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। 
বাজেডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজিবুর রহমান বলেন, বাজেডুমুরিয়া গ্রামের দুজন শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আমির আলী ও আছির আলী এলাকার শিশু সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বিদ্যালয়ের নামে ৫০ শতক করে মোট এক একর জমি দান করে ১৯৩৯ সালে ওই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা করেন।
বর্তমানে বিদ্যালয়টির শিক্ষক সংখ্যা ৫ জন। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৪০ জন। বিদ্যালয়ের নামে ৮৬ শতক জমি রেকর্ড থাকলেও  বর্তমানে বিদ্যালয়ের দখলে ৩০ থেকে ৩৫ শতক জমি রয়েছে। বাকি জমি  এলাকার প্রভাবশালী ও দাতা সদস্য আছির আলীর ছেলে আব্দুল গফুর হাজী জোর পূর্বক স্কুলে দান করা জমি দখল করে রেখেয়েছে। 
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,  বিদ্যালয়ের জমি জায়গা সংক্রান্ত জঠিলতার কারণে ভবন নিমার্ন কাজে বিঘ্ন ঘটছে। বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে। 
ঠিকাদার নাজমুল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কাযার্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে ভবন নিমার্নের নিমার্ণ সামগ্রী স্কুল মাঠে ফেলে রেখেছি কিন্তু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অবহেলার কারণে ও  প্রভাবশালীদের বাঁধায় ভবন নিমার্ণ কাজ শুরু করতে পারছিনা। 
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফা বেগম বাজেডুমুরিয়া ২ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত জঠিলতার কারণে ভবন নিমার্ণ কাজ শুরু হয়নি স্বীকার করে বলেন, খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি সমাধান করে ভবন নিমার্ণ কাজ শুরু করা হবে। ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে