2016-09-30_6_739400

ডেস্ক রিপোর্টঃ  মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, কন্যা শিশুরাই আগামীতে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে মূল ভুমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ‘কন্যাশিশুরা শিশুবিবাহ ও নির্যাতনের শিকার হবে এটা কোনোমতেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা জানি, শিশুবিবাহ অনেক সমস্যা তৈরি করে। এরফলে একজন শিশু আরেকজন অপুষ্ট শিশুকে জন্ম দেয়। এতে অপুষ্টির দুষ্টুচক্র তৈরি হয় এবং দেশের সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।
তিনি আজ সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম-এর যৌথ উদ্যোগে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং সেভ দি চিলড্রেন-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ার্স।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সাবেক পরিচালক ফালগুনী হামিদ এবং ইউনিসেফ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যাডওয়ার্ড বেইবেডার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে কন্যা শিশু জন্ম দেয়ার জন্য নারীদের অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হতো। কিন্তু সন্তান মেয়ে হবে না ছেলে হবে তা নারীর ওপর নির্ভর করে না। তা নির্ভর করে পুরূষের ওপর। দৃষ্টিভঙ্গি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কন্যা শিশুরা এখন আর অপ্রত্যাশিত নয়। কন্যাশিশুরা শিক্ষিত হলে তারা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।’ আমি মনে করি, কন্যাশিশুরাই আগামীতে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে মূল ভুমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, এবারের জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘শিশুকন্যার বিয়ে বন্ধ করি, সমৃদ্ধ দেশ গড়ি’।
অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্বে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত কন্যাশিশু-১২ জার্নাল এবং পোস্টার-এর মোড়ক উন্মোচনও করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এর আগে জাতীয় যাদুঘরের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়।

 

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে