ডেস্ক রিপোর্টঃ  এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের দ্বারপ্রান্তে সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর থেকেই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। পারফরমেন্স দিয়ে নিজেকে দলের অপরিহার্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। শুধু অসাধারণ পারফরম্যান্সই নয়, সাকিবই বাংলাদেশ দলকে শিখিয়েছেন ‘হেরে যাবার আগে হেরে যাওয়া চলবে না।’ সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশ দলের উন্নতির গ্রাফটা যেমন উপরে উঠেছে তেমনভাবেই সাকিবের রেকর্ড হয়েছে সমৃদ্ধ। অন্য অনেক রেকর্ডে নিজের নাম লেখানো বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত তারকার সামনে হাতছানি দিচ্ছে আরো একটি রেকর্ড।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার পর ওয়ানডে ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের বর্তমান রান ৪৯৬৮। ৫০০০ রানের মাইলফলক ছুঁতে সাকিবের তাই আর দরকার মাত্র ৩২ রান। ১৫ জুন বার্মিংহামে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালেই তাই সাকিব পূর্ণ করে ফেলতে পারেন ৫০০০ রান। এ ক্ষেত্রে তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ওযানডে ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন সাকিব।
জাতীয় দলের হয়ে তামিম ইকবালের কাজ শুধুই ব্যাট করা। সাকিবের কাজটা একটু বেশিই, দল তার ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তাকিয়ে থাকে বোলিংয়ের দিকেও। ব্যাটে-বলে সমান দ্যুতি ছড়িয়ে সাকিব আল হাসান তিন ধরনের ক্রিকেটেই দেশের তো বটেই, বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সে অলরাউন্ডারদের অর্জনের ছোট্ট তালিকায় ঢুকে পড়বেন সাকিব আল হাসান। আর ৩২ রান করতে পারলেই সনাথ জয়সুরিয়া, জ্যাক ক্যালিস, শহীদ আফ্রিদি ও আবদুল রাজ্জাকের পর সাকিব আল হাসান হয়ে যাবেন পঞ্চম অলরাউন্ডার, যাদের নামের পাশে আছে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫০০০ রান ও ২০০ এর উপরে উইকেট। তালিকার সকলেই এখন আন্তর্ঝাতিক ক্রিকেটের বাইরে রয়েছেন।
৪৪৫ ম্যাচ খেলে অবসরে যাওয়া লঙ্কান সনাথ জয়সুরিয়া ৩২৩ উইকেট নেবার পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেছেন ১৩৪৩০ রান। ৩২৮ ম্যাচে জ্যাক ক্যালিসের রান ও উইকেট যথাক্রমে ১১৫৭৯ ও ২৭৩। ৩৯৮ ম্যাচে ৩৯৫ উইকেট নেওয়া শহীদ আফ্রিদির রান ৮০৬৪। পাকিস্তানের আরেক ক্রিকেটার আবদুল রাজ্জাকের রান ৫০৮০, উইকেট ২৬৯টি; খেলেছেন ২৬৫ ম্যাচ ।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্যায় পর্যন্ত ১৭৬ ম্যাচ খেলা সাকিব আল হাসানের রান ৪৯৬৮, উইকেট ২২৪টি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেই ১১৪ রান করার পথে সাকিব ছাড়িয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডেরই অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নসকে (৪৯৫০ রান ও ২০১ উইকেট, ২১৫ ম্যাচ)। ফলে আরও অনেক দুর যাওয়ার সুযোগ আছে সাকিবের সামনে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেওয়া সাকিব আল হাসান ওয়ানডেতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন ১৬ বার। বাংলাদেশের হয়ে যেটা সর্বোচ্চ। সমান ১১ বার করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তামিম ইকবাল। যদিও বিশ্ব ক্রিকেটে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জয়ে সাকিব অনেকটা দূরে। সাকিবের চেয়ে বেশিবার ওয়ানডেতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মাত্র ৪১ জন ক্রিকেটার।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে