ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম বছর ভালো পারফর্ম করলেও গতবছর তেমন ভালো করতে পারেননি সৌম্য সরকার। রব উঠেছিল, সৌম্যকে বেশি সুযোগ দেয়া হচ্ছে। সেই খারাপ সময়ে সৌম্যর পাশে দাঁড়ান সতীর্থরা ও টিম ম্যানেজমেন্ট। আশা হারাননি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনও। সৌম্যকে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই দেখেছি, ক্লাস ইজ পারমানেন্ট, ফর্ম ইজ টেম্পোরারি। আমার মনে হয় সৌম্য একটা ক্লাস। ওর শুধু একটি ইনিংসের দরকার। হয়তো তাতেই ঘুরে দাঁড়াবে।’
এবার নিজকে ফিরে পেয়েছেন সৌম্য। তার ব্যাট হেসেই চলেছে রীতিমতো। নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে আবারও শুরু। ছোট-বড় ইনিংস দিয়ে দারুণভাবে ফর্মে ফিরেছেন। সর্বশেষ দুটি ম্যাচেই ফিফটি করেছেন। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ৬১ রান।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন অপরাজিত ৮৭ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস। আইরিশদের বিপক্ষে পেরিস্কোপ শটে ক্রিকেট বিশ্বকে মুগ্ধ করেছেন সৌম্য। ছিলো আরো কিছু নান্দনিক শট। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ক্রিকেটারকে নিয়ে আশাবাদী হাবিবুল বাশার সুমন। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এমন সৌম্যকেই চান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড। আস্থার প্রতিদান দেয়া সৌম্যকে নিয়ে সুমন বলেন, ‘খারাপ সময়ে সৌম্যর প্রতি টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রেখেছিল, তার প্রতিদানই দিয়ে চলেছে সে। সৌম্য বাংলাদেশের ক্রিকেটের খুব বড় সম্পদ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। ইংল্যান্ডের উইকেটে পেস ও বাউন্স আছে। এমন উইকেটে ভালো ব্যাটিং করতে পারে সৌম্য। নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডে তার প্রমাণ রেখেছে।’
আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচের ফিনিশিং টেনেছেন সৌম্য। যা মুগ্ধ করেছে হাবিবুল বাশার সুমনকে, ‘এ ধরনের উইকেটে সৌম্যর অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংসটি সত্যিই অসাধারণ। ৮০ রানের বেশি করেছে বলে এটা বলছিÑ তা কিন্তু নয়। ম্যাচটা শেষ করে এসেছে। যদি সৌম্যর মতো কেউ এভাবে দীর্ঘ সময় থিতু হতে পারে, তা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের জন্য বড় পাওয়া। মিড উইকেটের ওপর দিয়ে একটি ছক্কা মেরেছে, তা দেখে আমি মুগ্ধ। আবার মিড উইকেটের চেয়ে কভারে শট খেলেছে সে।’
বাংলাদেশ দলের টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ইনিংস আরো লম্বা হোক, এমন প্রত্যাশায় সাবেক অধিনায়ক নিজেও, ‘টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানের থেকে ভালো একটি ফিফটিই যথেষ্ট নয়। লম্বা ইনিংস খেলতে হবে তাকে। যা সহায়ক হবে দলের বড় স্কোরের জন্য। যখন আমরা বড় দলগুলোকে হারাতে চাই, তখন এটা খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলগুলোর বিপক্ষে।’

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে