রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে মডেল মৌ আক্তার আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রোববার (১ আগস্ট) রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

এছাড়া পিয়াসার রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ, ফ্রিজে রাখা আইসক্রিমের বাক্সে সিসা তৈরির কাঁচামাল এবং বেশ কয়েকটি ই-সিগারেট পান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় পিয়াসার কাছ থেকে ৪টি স্মার্টফোনও জব্দ করেছে পুলিশ।
এর আগে ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা নামে রাজধানীর বারিধারা থেকে আরও এক মডেলকে আটক করে ‍পুলিশ। অভিযানকালে ডিবি সদস্যরা পিয়াসার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবার কয়েকটি প্যাকেট জব্দ করে।
রোববার রাতে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একটি দল বারিধারার ৯ নং রোডের ৩ নং বাসায় এ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
অভিযানকালে পিয়াসার ঘরের টেবিল থেকে চার প্যাকেট ইয়াবা (কত পিস জানা যায়নি), রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ, ফ্রিজে একটি আইসক্রিমের বাক্স থেকে সিসা তৈরির কাঁচামাল এবং বেশ কয়েকটি ই-সিগারেট পাওয়া গেছে। এছাড়া পিয়াসার কাছ থেকে ৪টি স্মার্টফোন জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
অভিযান শেষে গোয়েন্দা পুলিশের নারী সদস্যদের মাধ্যমে পিয়াসাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ গণমাধ্যমকে জানান, তারা দুইজন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আজ তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। দুইজনের বাসায় বিদেশি মদ, ইয়াবা, সিসা পাওয়া যায়। মৌয়ের বাড়িতে মদের বারও ছিল।
তিনি আরও জানান, আটক দুই মডেল হচ্ছেন রাতের রাণী। তারা দিনের বেলায় ঘুমাতেন এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করতেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন তারা। বাসায় আসলে তারা তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলতেন এবং ভিডিও করে রাখতেন। পরবর্তীতে সেসব ভিডিও এবং ছবি ভিকটিমদের পরিবারকে পাঠানোর হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন।
আটক দুইজনের আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ জানান, তাদের বাসায় মাদক পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা হবে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ থাকায় আলাদা মামলা হবে। এসব মামলায় আমরা তাদের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করব।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত পিয়াসা। সেই ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। প্রথমে মামলা করতে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করেছিলেন পিয়াসা। কিন্তু পরে পিয়াসার বিরুদ্ধেই মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগে জিডি করেন ভুক্তভোগীদের একজন।সেই ঘটনার ৪ বছর পর ফের আলোচনায় মডেল পিয়াসা।

SO/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে