ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, আমরা যদি দেশের ব্যাংকগুলোর দিকে তাকাই কী দেখি। ব্যাংকগুলোতে কী হচ্ছে?

ব্যাংকগুলোর অবস্থা দেউলিয়া। সরকারকে মূলধন দিতে হচ্ছে। এটা কাম্য নয়। প্রায়ই পত্রিকায় শিরোনাম হচ্ছে হাজার কোটি টাকা নিয়ে ভদ্রলোক (ঋণগ্রহীতা) গায়েব।

চার হাজার, পাঁচ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গায়েবের খবর প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। এগুলো জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকায় চোর-বাটপারদের পুনর্বাসন করা যাবে না। জনগণের টাকার স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তাহলে সবাই সঠিক সময়ে ট্যাক্স দেবে। আস্থার সংকট বাড়তে থাকলে জনগণ ট্যাক্স দিতে উৎসাহ হারাবে। মঙ্গলবার নগরভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়োজিত জরিপ, করনেট সম্প্রসারণ ও করদাতা উদ্বুদ্ধকরণবিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাঈদ খোকন বলেন, দেশে ১৭ কোটি মানুষ। এর মধ্যে মাত্র ২০ লাখ মানুষ ট্যাক্স দিচ্ছে। ট্যাক্স দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে অথচ অনেকে ট্যাক্স দিচ্ছেন না। যারা ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছেন, তাদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। এখন শুধু শহর নয়, গ্রাম ও শহরে সমানতালে উন্নয়ন কাজ চলছে। তবে এখানে একটি নেতিবাচক বিষয় রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফল গুটিকয়েক মানুষ ভোগ করছে। এ কারণে দেশের বড়সংখ্যক মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে উপকর দাবি করে তিনি বলেন, ডিএসসিসি এ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ১২০ কোটি টাকা দিয়েছে। আমরা এনবিআরকে যেভাবে দিতে চাই, সেভাবে নিতেও চাই।

কেননা সিটি কর্পোরেশন আইন-২০০৯ এর চতুর্থ তফসিলে ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সরকার যে কর আদায় করবে, সেখান থেকে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে একটা উপকর প্রদান করতে হবে। এটা আইনে পরিষ্কার বলা আছে। আমরা সেটা পেতে চাই।

এনবিআরকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহর থেকে শুধু ট্যাক্স আদায় করলে হবে না। গ্রামেও জমির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখান থেকেও ট্যাক্স আদায় করতে হবে। সেটা করা না হলে দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে না।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকদের বছরে মাত্র ৫ হাজার টাকা ট্যাক্স। যা অনেকে জানেন না কিংবা ভয়ে জানতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে একটা উদ্যোগ নেয়া হবে। যারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তাদের টিআইএ নম্বর শুধু দিলে হবে না। রিটার্ন দাখিলের কপি দেখাতে হবে। একই সঙ্গে যারা ফ্ল্যাট বাসায় থাকেন সেখানেও খোঁজ নেয়া হবে তারা ট্যাক্স দেন কিনা। এমন উদ্যোগ খুব শিগগিরই নেয়া হবে।

এনবিআরের কর কমিশনার (ঢাকা অঞ্চল) মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, সদস্য (আয়কর জরিপ ও পরিদর্শক) মোহাম্মদ গোলাম নবী, বিজিএমইএ’র পরিচালক মো. মনির হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে