ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ২৫০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। সাতটি বগির মধ্যে দুটো ব্রিজের নিচে পড়েছে, লাইন থেকে ছিটকে পড়েছে দুটি। আর তিনটি লাইনচ্যুত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক সাত জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করছেন।
ঘটনাস্থল থেকে কুলাউড়া উপজেলার চেয়ারম্যান এ এক এম সফি আহমদ (সলমান) জানান, আমরা চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন। নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি কুলাউড়ার সাবেক পৌর মেয়রের ভাই আব্দুল বারির স্ত্রী বলে জানা গেছে। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেন, ঘটনাস্থলে ৫ জন ও কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরে কালামিয়া বাজার সংলগ্ন একটি ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বরমচাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক হুমায়ুন কবির জানান- কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশন সংলগ্ন একটি ব্রিজে হঠাৎ ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে খালে পড়ে যায় এবং একটি বগি উল্টে যায়।
এতে ঘটনাস্থলে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে এবং লাইনচ্যুত বগির যাত্রী ছাড়াও মারাত্মক ঝাঁকুনিতে অন্তত ২৫০ যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
ট্রেনের যাত্রী ইয়াসিন আহমেদ জানান- কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশন সংলগ্ন একটি ব্রিজে হঠাৎ লাইন ছিড়ে ট্রেনের ৫টি বগি খালে পড়ে যায় এবং একটি বগি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং লাইনচ্যুত বগির যাত্রী ছাড়াও মারাত্মক ঝাঁকুনিতে অন্তত ২৫০ যাত্রী আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। ফলে ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রচুর বেশি যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি সিলেট থেকে ছেড়ে যায়।
কুলাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল মালেক বলেন, নিহতের কোন খবর পাইনি। শুনেছি ৩ জন লোক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে অনেক লোক আহত হয়েছেন।
তিনি জানান, স্থানীয় জনতাকে সঙ্গে নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে পুলিশ প্রাথমিক উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
খবর পেয়ে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম ও পুলিশ সুপার শাহজালাল ঘটনাস্থল এবং হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এছাড়া ঘটনাস্থলেও বিজিবিও রয়েছে।

পিবিএ/বাখ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে