মোঃ বনি, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে ইউপি নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ইউপি নির্বাচনে হরিনাকুন্ডুর ৭ নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী মোঃ বছিরউদ্দীন জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন। তার পক্ষে ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের সাধারণ ভোটারদের জনসমর্থন রয়েছে।
মোঃ বছিরউদ্দীন আওয়ামীলীগের একজন ত্যাগী ও সাহসী নেতা বলে বিবেচিত। দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ আওয়ামীলীগের হাল টেনে আসছেন।

রাজনৈতিক জীবনে দলের জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন। তিনি হরিনাকুন্ডু উপজেলার ৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন । তিনি বর্তমানে উপজেলার আওয়ামীলীগের সদস্য। ৭ নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নসহ হরিনাকুন্ডু উপজেলা তথা ঝিনাইদহ জেলাব্যাপী আওয়ামীলীগের একজন ত্যাগী ও সাহসী নেতা বলে সবাই জানে। জীবনের বেশীরভাগ সময় তিনি ব্যয় করেছেন দলের পেছনে নি:স্বার্থ শ্রম দিয়েছেন। ওই ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

এবারের ইউপি নির্বাচনে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বছিরউদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোক এমনটিই আশা করছেন ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।

গ্রামাঞ্চলে ভোটারদের মধ্যে তাকে নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মাঠে, বাজারে ও গ্রামে গ্রামে তাকে নিয়েই হই হুল্লুড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউনিয়নের সাধারণ ভোটাররা মোঃ বছিরউদ্দীনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে এলাকায় কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন।

এলাকায় একজন সৎ, ত্যাগী, সাহসী ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে তার পরিচিতি রয়েছে। এই ত্যাগী নেতা আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে এবার বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে ইউনিয়নবাসীর ধারণা।

এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মোঃ বছিরউদ্দীনকে চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান ইউনিয়নবাসী।
সরেজমিনে রঘুনাথপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামাঞ্চলের দোকান-পাট, চায়ের টেবিলে ঘুরে ফিরছে ইউনিয়ন নির্বাচনের খোঁজ-খবর। এখানে চেয়ারম্যান প্রার্থীর কয়েকজনের নাম শোনা গেলেও প্রকৃত আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবে মোঃ বছিরউদ্দীনের জনপ্রিয়তা রয়েছে শীর্ষে। এই ত্যাগী প্রবীন নেতা ছাড়া যদি অন্য কোন আওয়ামীলীগের লেবাসধারী বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা সরকার দলীয় মনোনয়ন পায় তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে প্রত্যাক্ষান করতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।

বছিরউদ্দীন জানান, ত্যাগী আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে আমি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। আমাকে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে কতিপয় অসাধু ধর্ণাঢ্য ব্যক্তি। টাকার জোরে তারা দলীয় মনোনয়ন কিনে জোরপূর্বক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় দু:শাসনের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। সুষ্ঠ অবাধ নির্বাচনের জন্য তিনি এবার প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে