মারুফ সরকার, বিনোদন ডেস্কঃ আজকে এমন একজনের কথা তুলে ধরবো যিনি খুব অল্প সময়ে জয় করে নিয়েছেন কলকাতার টালিগঞ্জের সকল পরিচালকদের, হলের পর্দায় দেখা যাই তাকে ভয়ঙ্কর রূপে একজন খল নায়ক হিসাবে কিন্তু বাস্তবে তিনি কোমল মনের অধিকারী একজন মানুষ। যিনি বৃদ্ধা, অসহায় ও এতিমদের জন্য কাঁদে। কলকাতার ছবির শুটিং এ ব্যস্ত সময় পার করছেন। এক নাম তাকে টালিগঞ্জ পাড়ার সবাই চেনেন।সকলের মনের মানুষ “টাইগার রাজিব ” আবার কেউ কেউ “টাইগার ভাইজান” ডাকেন। দূর্গা পূজার ছুটিতে তিনি দেশে এসেছেন। তার সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারটি দর্শকদের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো।

আপনার অভিনয় জীবন শুরু কিভাবে.?
* ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের সখ ছিলো, ২০০০ সালে আমি ঢাকা নাট্য থিয়েটারে কাজ করি, তারপর ২০০৫ সালে বাংলা কিছু চলচ্চিত্রে কাজের জন্য ডাক পাই কিন্তু অশ্লীলতার কারনে নিজেকে গুটিয়ে রাখি, অশ্লীল কাজ করিনা, তার দীর্ঘ সময় পর ২০১৫ সালে দেওয়ান নাজমুল স্যারের “ভয়ংকর গোলমাল” শেখ কামাল ভাইয়ের “অদৃশ্য সন্তান” বাবু ভাইয়ের “থাবা” সহ বেশকিছু ছবিতে কাজ করেছি, এছাড়া হারুন-অর- রশিদ প্রিন্স ভাইয়ের ‘কবিতা ও জিবন’ “একটি স্বাধীনতার গল্প” সহ কয়েকটি টেলিফিল্মে কাজ করি। বর্তমানে বাংলাদেশে কোন কাজ করছিনা, কলকাতার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।

কার মাধ্যমে কলকাতায় কাজের সুযোগ পান.?
* লব মল্লকি এর মাধ্যমে, লব মল্লকি আমার বড় ভাই, বন্ধু সবকিছু। আমাকে অনেক কাজে তিনি সাহায্য করেছেন।

আপনি বাংলাদেশের মানুষ হয়ে কলকাতায় কাজ করেন, এজন্য গর্ববোধ হয়না.?
* অবশ্যই গর্ববোধ করি, সেখানে আমি যথেষ্ঠ সম্মান ও ভালবাসা পেয়েছি।

এই মুহুর্তে কি নিয়ে ব্যস্ত আছেন.?
* বর্তমানে আমার টালিগঞ্জের ২৬ টা ছবিতে সাইনিং করা আছে। এবার আসলাম ছয়টা ছবির ৯৫% কাজ শেষ করে। পূজার জন্য পনের দিনের ছুটিতে এসেছি, আবার আগামী ৩০ তারিখে চলে যাবো, ১ তারিখ কলকাতায় থাকবো।

অভিনয় নিয়ে আপনার চুড়ান্ত ভাবনা কি.?
* চুড়ান্ত ভাবনা বলতে আমি চাই নিজের একটা পরিচয় হোক,আমার নিজের একটা পরিচিতি থাকবে। সেটা বাংলাদেশ বা কলকাতায় হোক,আমার চলাফেরা,স্টাইল সবার থেকে ভিন্ন। আমি এন্টি হিরো হিসাবে কাজ করি,তবে ব্যাতিক্রম এন্টি হিরো। বর্তমান যারা আছে তাদের কারো সাথে আমার মিল পাবেন না।

আপনি যে অভিনয় করেন, পরিবার থেকে কোন সাপোর্ট পান.?
* হ্যাঁ, আমার বাবা আমাকে অনেক সাপোর্ট করে, তিনিই আমাকে অনুপ্রানিত করে, আমার বাবা শুধু একজন বাবা না, ভালো একজন বন্ধুও বটে।

কলকাতা ও বাংলাদেশের মধ্যে আপনার প্রিয় অভিনয় শিল্পী কে.?
* ভারতে আমার প্রিয় অভিনেতা সালমান খান ও শাহরুখ খান, বাংলাদেশে একজনই ছিলো সে প্রয়াত সালমান শাহ্, উনাকে আমি যথেষ্ঠ সম্মান ও শ্রদ্বা করি। বর্তমানের মধ্যে আছেন শাকিব খান,কারন তিনি অনেক কষ্ট করে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন এবং ভালো একজন অভিনেতা।

আপনার ব্যাক্তি জীবন বা অভিনয় জীবনে কোন কষ্ট আছে কি.?
* বাংলায় একটা প্রবাদ আছে কষ্ট না করলে, কেষ্ট মেলেনা। কষ্টের পরেই সুখের মুখ দেখা যাই, ওই সুখটা মধুর। আমার ব্যাক্তি জীবন বা অভিনয় জিবনে তেমন কোন কষ্ট পাইনি।

কোন ধরনের অভিনয় করতে ভালো লাগে.?
* খলনায়ক হিসাবে কাজ করছি, এটাতেই সাচ্ছন্দ্য পাই।

আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়.?
* জন্মস্থান ঢাকায়, দেশের বাড়ি বরিশাল, তবে যাওয়া হয়না।

আপনার প্রিয় রং এবং প্রিয় খাবার কি.?
* প্রিয় রং লাল, নীল ও কালো, প্রিয় খাবার ভাত ও ভর্তা।

অবসর সময়ে কি করতে ভালো লাগে.?
* অবসর সময়ে আমি ফেসবুক নিয়েই থাকি!

সর্বশেষ দর্শকদের উদ্যেশ্যে কিছু বলুন!
* দর্শকদের অনেক কথা ই বলার ছিলো, আমি নিজের জন্য কিছু চাইবোনা, আমি চাই পৃথিবীর সকল মা যেন ভালো থাকে,কোন সন্তান যেন বাবা-মাকে কষ্ট দেইনা, স্যোসাল মিডিয়ায় অনেক সময় দেখি বৃদ্ব / বৃদ্বাদের মানুষিক ও শারিরীক ভাবে টর্চার করা হয়, ছোট ছোট বাচ্চা গৃহকর্মীদের নির্যাতন করা হয়। আমি বলবো আপনারা এর বিরুদ্বে সোচ্চার হোন,এ টার প্রতিবাদ করুন, কারো বাবা-মাকে যেন বুড়া বয়সে বৃদ্বাশ্রমে যেতে না হয়। আর সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে