world

বিডি নীয়ালা নিউজ(৯ই জুন ২০১৬ইং)- অনলাইন ডেস্ক রিপোর্টঃ আগামীকাল থেকে টানা ৮ দিন আকাশে সূর্য উঠবে না। আর এই আটদিন অন্ধকারে ডুবে থাকবে পুরো পৃথিবী! এমনই এক খবরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। কেউ এ খবরটিকে স্রেফ গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। আবার কেউ দাবী করছেন খবরটি গুজব নয়, এটি সত্যি।
তবে খবরটি কোথা থেকে আসল? এ খবরের সত্যতা কতটুকু? এর কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও খবরটিতে বলা হচ্ছে এমন খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে ‘নাসা’ দিয়েছে। আর সে খবর নাকি প্রকাশ করেছে ‘বিবিসি’, ‘রয়টার্স’ ও ‘সিএনএন’। তবে ‘নাসা’ ও উল্লেখিত সংবাদ মাধ্যমগুলোর ওয়েভ সাইডে এ খবরের কোন সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এদিকে প্রশ্ন দেখা দিয়েয়ে, তাহলে কারা এমন খবরটি ছড়িয়ে দিচ্ছেন? এর নেপথ্যে কি কারণ? এর আগেও একবার বলা হয়েছিলো গেল বছরের নভেম্বর থেকে টানা পনের দিন পৃথিবীতে কোন সূর্য উঠবে না। আর সে খবর ছড়িয়েছিল NEWSWATCH33.COM নামের একটি ওয়েব সাইড। তবে বর্তমানে এই সাইডটির কোন অস্তিত্ব পাওয়ার যাচ্ছে না।

সম্প্রতি আবার এমনই খবর ছড়িয়ে

পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে। আর এ নিয়ে গেল ক’দিন ধরে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।

খবরটিতে বলা হয়, ‘‘আগামী ১০ই জুন থেকে ১৭ই জুন পর্যন্ত আকাশে উঠবে না সূর্য। গোটা দুনিয়া থাকবে সম্পূর্ণ অন্ধকারাচ্ছন্ন। এমনটাই নিশ্চিত করেছে নাসা ! সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড সাইন্টিস্ট প্রেস কনফারেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে নাসা থেকে এই ঘোষণাটি দেয়া হয়েছে।

নাসার এখবরটি বিবিসি, রয়টার্স ও সিএনএন নিউজে প্রকাশিত হবার সাথে সাথেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় সারাবিশ্বে। ১০ লক্ষ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার এমন বিরল ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে নাসা। ২০১৬ সালের ১০ই জুন থেকে ১৭ই জুন পর্যন্ত টানা ৮দিনের জন্য পৃথিবী সম্পূর্ণ অন্ধকারে ঢেকে থাকবে। তারমানে, ১০ই জুন থেকে সূর্য উঠবেনা টানা আটদিন !

এব্যাপারে নাসার একটি বিশেষ গবেষণা শেষে হোয়াইট হাউজে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে আরো উল্লেখ করে বলা হয়, ১০ই জুন থেকে সেই অন্ধকারে নিমজ্জিত আটটা দিনে কেমন হবে দুনিয়ার হাল !

প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, প্রথম দুই তিন রাতের পর অন্ধকার মানুষের কাছে বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়াবে। তারপর শুরু হবে নানারকম ব্যাধির প্রকোপ। সারাবিশ্বে একনাগাড়ে বিদ্যুতের সঙ্কট দেখা দিবে। বিভিন্ন ধরনের লাইট বিক্রি বেড়ে যাবে। চতুর্থ দিন থেকে পঞ্চম দিনের মধ্যে বাড়বে আত্মহত্যার ঘটনা। একটানা রাত দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে মানুষ একসময় আত্মহত্যা করা শুরু করবে।

এই খবরটি এতদিন কেনো চেপে রাখা হয়েছিলো, তা জানতে চেয়ে নাসার মুখপাত্র চার্লস ফ্রাঙ্ক বোল্ডেন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এবিষয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি তারা। তাদের জন্য এটা তেমন কে‍ানো ব্যাপারই না মনে করে বিষয়টিকে তারা উড়িয়ে দিয়েছেন ’’

এদিকে এ খবরটি সত্যাতা জানার জন্য ‘নাসা’র ওয়েভ সাইডে গিয়েও এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ‘বিবিসি’, ‘রয়টার্স’ ও ‘সিএনএন’-এ-ও এমন খবরের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এমন খবর কে বা কারা রটাচ্ছে? আর কি তাদের উদ্দেশ্য?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে