ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে তাঁর দল পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে কানেকটিভিটির ওপর জোর দেবে।
তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়েও তাঁর পরিকল্পনা রয়েছে। আজ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদকে একথা জানান। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারি ‘গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ, বাংলাদেশকে এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন অধিক গুরুত্ব পাবে।’
সরকার পায়রায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ ইতোমধ্যেই শুরু করেছে এবং এটির নির্মাণ সম্পন্নও করা হবে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এর গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানের কারণে পূর্ব এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে অবশিষ্ট দেশগুলোর এই সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।’

সরকার প্রধান বলেন, তাঁর সরকার গ্রাম উন্নয়নের ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করেছে। প্রতিটি গ্রামকে সকল প্রকার নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত করে এক একটি শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
তাঁর সরকার সারাদেশে কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি কৃষির উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি এ সময় পদ্মা সেতু থেকে বরিশাল পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপনের মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের পরিকল্পনা তাঁর সরকারের রয়েছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলযোগাযেগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজির এক প্রশ্নের জাবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার নারীদের জন্য জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পর্যায়ক্রমিকভাবে ফ্লাট বা হোস্টেল নির্মাণ করে দেবে। যাতে করে সেখানে যেসব মেয়েরা কাজ করবে তারা যেন নিরাপদে ভালোভাবে বসবাস করতে পারে। আর যেসব এলাকায় শিল্পায়ন হচ্ছে সেসব স্থানেও নারীদের জন্য হোস্টেল ও ডরমেটরি নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।

সেইসাথে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আবাসনের জন্য কোন এনজিও আবাসন ব্যবস্থা করে দিতে চাইলে মাত্র দুই শতাংশ সার্ভিস চার্জে তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

B/S/S/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে