সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও বেলকুচি উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার প্রায় ৩০ হাজার দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মমিন মন্ডল।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে বেতিল মহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসায় বেলকুচি ও চৌহালী দুটি উপজেলার সকল ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাঝে ২৫০০ ও সদিয়া ইউনিয়ন ও আঞ্চলিক ইউনিয়নে একহাজার ৫ শত পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী তুলে দেন এমপি আবদুল মমিন মন্ডল।
হাজী আবদুল মজিদ মণ্ডল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্রায় সপ্তাহব্যাপী প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে দুস্থদের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেন তিনি।

জানা যায়, মণ্ডল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন এমপি প্রয়াত আলহাজ আব্দুল মজিদ মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে এলাকার দরিদ্র রোজাদার ও দুস্থদের মধ্যে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও তার জ্যেষ্ঠপুত্র সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মমিন মন্ডল ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এজন্য আগে থেকে প্রতিটি এলাকার প্রকৃত দুস্থদের নামের তালিকা করা হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী রোববার থেকে দুর্গম চরাঞ্চলের গ্রামে গ্রামে গিয়ে দুস্থদের হাতে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন এমপি আব্দুল মমিন মন্ডল।

এ সময় প্রতিটি পরিবারকে একটি বক্সে চাল ৭ কেজি, পায়েসের চাল ১ কেজি, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ১ প্যাকেট খেজুর, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ, লাচ্ছা সেমাই ২ প্যাকেট ও শরবতের জন্য একটি করে প্যাকেট দেয়া হয়।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের এমপি আব্দুল আব্দুল মমিন মন্ডল জানান, আমার বাবা প্রাক্তন এমপি আব্দুল মজিদ মণ্ডলকে দেখেছি গরিব দুস্থদের জন্য সব সময় কাজ করেছেন। এখন আমি আরও ব্যাপক পরিসরে এলাকার দু:স্থ রোজাদারদের জন্য ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করছি। যতদিন বেচে আছি অসহায় বঞ্চিত মানুষ ও এলাকার উন্নয়নে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।

এলাকার কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষ এ সহায়তা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। ইফতার ও ঈদ সামগ্রী পেয়ে বেতিল চরের শহিদুল ইসলাম জানান,পুরো রমজান মাসের ইফতার তৈরির সামগ্রী ও ঈদের জন্য লাচ্ছা সেমাই,পায়েসের চাল ও চিনি পেয়েছি। গত বছরও পেয়েছিলাম। মণ্ডল পরিবারের মতো সব বিত্তশালীরা যদি এমন হতো, তাহলে গরিবদের রোজা পালনে কষ্ট কমে যেত। গরিবের ঈদ আরও আনন্দময় হতো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে