হুমাউন কবির, ঢাকা: মাত্র কয়েক বছরে নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন ইমতাজুর রহমান ববী (৫৮)। এ ছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে নিয়মিত কোটি কোটি ডলার কানাডা, অ্যামেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করছেন।

সম্প্রতি এসব বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) অভিযোগ করেছেন আফজাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

দুদকে দেওয়া চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ইমতাজুর রহমান ববী একজন নব্য ধনাঢ্য অবৈধ সম্পদধারী ব্যবসায়ী। মাত্র কয়েক বছরে নামে বেনামে তিনি দেশে-বিদেশে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

ইমতাজুর রহমান ববীর বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের বিবরণে বলা হয়-

রাজধানীর বনানী বি ব্লকে তার রয়েছে রোজডেল হোটেল অ্যান্ড অ্যাপার্টমেন্ট। এটি ১১ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক আবাসিক হোটেল ও অ্যাপার্টমেন্ট। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১২০ কোটি টাকা। রয়েছে, হায়াত প্লেস থাই চেইন আন্তর্জাতিক মানের হোটেল ৯০ রুম বিশিষ্ট চার তারকা হোটেল। যার অবস্থান উত্তরা ৩নং সেক্টরে অবস্থিত। আনুমানিক মূল্য ২০০ কোটি টাকা।

বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনে রয়েছে আবাসিক অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট বাড়ি। ৮০০০ স্কয়ার ফুট আয়তনের বাড়িটির আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা। গুলশান-২ নম্বরে আবাসিক অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট বাড়ি রয়েছে। আনুমানিক মূল্য ৫০ কোটি টাকা। দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে ফ্ল্যাট রয়েছে। আনুমানিক মূল্য ৩৫ কোটি টাকা। গুলশান এভিনিউতে রয়েছে খাজানা রেস্টুরেন্ট ও সুইট।

ইমতাজুর রহমান ববী কানাডার দ্বৈত নাগরিক। টরেন্টো শহরে চারটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে। হুন্ডির মাধ্যমে নিয়মিত কোটি কোটি ডলার কানাডা, অ্যামেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করে থাকে।

ববি ও তার স্ত্রীর নামে বেনামে দেশে বিদেশে সম্পদের পাহাড় রয়েছে।তাদের আয়ের উৎস ব্যবসার অন্তরালে মাদক কারবার, স্বর্ণ চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার। হুন্ডি ব্যবসায়ী, টাকা ও ডলার পাচারকারী এই দম্পতি অসংখ্য মাফিয়াদের গডফাদারে পরিণত হয়েছে।

সকল বিষয় বিবেচনা করে ইমতাজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দুদকে অভিযোগ জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ইমতাজুর রহমান ববীর বিরুদ্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ইতোমধ্যে তদন্ত চলছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে