download

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৬জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ রাজধানীর গুলশানের পূর্ণিমা রেস্টুরেন্টের সঙ্গে জড়িয়েছে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ। সম্প্রতি মূল্য সংযোজন কর (মূসক) গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির মোটা অংকের ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি উঠে এসেছে।

অভিযান সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, রেস্টুরেন্টটি মাত্র এক বছরেই ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ৪৪ লাখ ৯ হাজার ৯৪৪ ‍টাকা। তাদের বিরুদ্ধে সবক্ষেত্রে ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) ইস্যু না করা, পার্সেল খাবারের ক্ষেত্রে নীল চালান ব্যবহার ও মূসক চালান না দেওয়া, প্রকৃত বিক্রি গোপন করে রাজস্ব ফাঁকিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

তবে পূর্ণিমা কর্তৃপক্ষের দাবি, আইন না বুঝেই তারা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

মূসক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, পূর্ণিমায় ইসিআর চালানে ভ্যাটকে ডিসকাউন্ট দেখানো হয়। ভ্যাট চালান চাইলে ‘কাহিনী’ শোনানো হয়। এ নিয়ে অসংখ্য ভোক্তা মূসক গোয়েন্দায় অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে চলে অভিযান।

অভিযানকালে রেস্টুরেন্টের মালিক আনোয়ার হোসাইন দাবি করেন, তারা প্রতিটি ইসিআরের ভ্যাট সরকারকে দেন। কিন্তু গোয়েন্দারা দেখতে পান, তারা হিসাবে ভ্যাট ডিসকাউন্ট দেখাচ্ছেন।

আনোয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বলেন, পার্সেলের ওপর ভ্যাট কাস্টমার থেকেও নিইনি, তাই সরকারকেও দিইনি। তাছাড়া, রেস্টুরেন্টের ওপর প্রথম যখন ভ্যাট আরোপিত হয়, তখন থেকেই আমরা ভ্যাট দিই। সুতরাং ভ্যাট ফাঁকির প্রশ্নই আসে না।

পূর্ণিমার মালিক বলেন, আমরা আইন মানি, কিন্তু আইন জানি না। চালান দিয়েছি, কিন্তু তাতে ভ্যাট নিইনি। বুঝে-শুনে ভ্যাট ফাঁকি দিইনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে