base_copy

বিডি নীয়ালা নিউজ(২জানুয়ারি১৬)-অনলাইন প্রতিবেদন: ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোট বিমান  ঘাঁটিতে আজ শনিবার ভোরে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা গোলাগুলিতে চারজন সন্ত্রাসী ও দুজন বিমান সেনা নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে ভারত সন্দেহ করছে।

শনিবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে চারজনের একটি সশস্ত্র দল এই হামলা চালায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বিমানঘাঁটির মিগ ২৯ বিমান এবং হেলিকপ্টারগুলো নিরাপদ রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও কাশ্মীর ভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন ‘জইশ ই মোহাম্মাদ’ এই হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও নিহত হামলাকরীদের পরিচয় এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় কতৃপক্ষের বরাতে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে পাঞ্জাবের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সন্ত্রাসীরা সামরিক পোশাক পরে পুলিশের একটি গাড়িতে করে বিমানঘাঁটিতে ঢোকে। বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, গাড়িটি গুরুদাসপুরের পুলিশ সুপারের। গতকাল শুক্রবার পাঠানকোট থেকে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা কয়েকজন সন্ত্রাসী পুলিশ সুপারকে আঘাত করে তাঁর গাড়ি ও ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই ফোন দিয়ে পাকিস্তানে সন্ত্রাসীরা যোগাযোগ করেছে বলে গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে। গতকাল এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্কাবস্থায় ছিল। এর মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটল।

সেনাবাহিনীর বিশেষ দুটি দল, জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও বিমানবাহিনী এই অভিযানে অংশ নেন। পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। গোলাগুলি শেষ হলেও ওই এলাকায় চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পাঠানকোট-জম্মু মহাসড়কে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিমানবাহিনীর স্টেশন এলাকায় যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা সূত্র বলছে, সেনাবাহিনীকে মহাসড়কে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। যাতে কোনো জঙ্গি জম্মু ও কাশ্মীরে ঢুকতে না পারে।

পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে ছয় মাস আগে আরও একটি সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে তিনজন নাগরিক নিহত হন। ১২ ঘণ্টা ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির পর তিন হামলাকারী সন্ত্রাসী নিহত হয়।

-বিবিসি অনলাইন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে