file-6

আজিজ খান, গোলাপগঞ্জ(সিলেট)প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা তীরবর্তী অঞ্চলে বাড়িঘর ভাংগার অভিযাগে মামলা করায় বাদী পড়েছেন বিপাকে। আসামী পক্ষ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে বাদীকে প্রাণে মারার জন্য অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে মামলার বাদী গৃহকর্তা সরফ উদ্দিন জানমালের নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনার সত্যতা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বীকার করলেও বাড়িঘর ভাংগার অভিযোগে এজহার ভূক্ত  কোন আসামীকে এখনও ধরা সম্ভব হয়নি। একটি নিরীহ  প্রবাসীর বাড়িঘর ভেঙে চুরমার করে দেয়ার বিষয়টি গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

বিলম্বে প্রাপ্ত  সংবাদে জানা যায়, উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের মোল্লারচক গ্রামে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে সাহাবুদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, আতাউর রহমান ফুলন, বদরুল আলম, আলিনুর ইসলাম তাহমিদ, সামসুদ্দিনসহ ১০/১৫ লোক সঙ্গবদ্ধ হয়ে গত ২৪ আগষ্ট মুক্তার আলীর পুত্র সরফ উদ্দিনের পাকা ঘরে হামলা চালায়। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন শাবল, হাতুড়ি, দরজা-জানালা ভাঙার বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে প্রায় ৫০ হাত লম্বা পাকা ঘরের বিভিন্ন দেওয়াল ভেঙে কাঠের দরজা-জানালা ভেঙে খুলে নেয়। এমনিতেই প্রতিপক্ষের হুমকি ধমকিতে দীর্ঘদিন থেকে সাহাব উদ্দিনের পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে বসবাস করে আসছিলেন। গৃহে কোন লোকজন না থাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন সহজেই ভাংচুর চালাতে সক্ষম হয়। ঘটনার পর পর বিষয়টি গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্য কে অবহিত করলে কুশিয়ারা তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে সাহাব উদ্দিন বিচার প্রার্থী হয়ে তার ঘরের ভাংচুরের চিত্র তুলে ধরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট সিলেটের আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি এজহার গণ্যে রেকর্ড করার জন্য আদালত গোলাপগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৪৩৬/৪৮০/৪২৭/৫০৬ দন্ডবিধিসহ বিভিন্ন ধারায় মামলাটি গোলাপগঞ্জ থানায় রেকর্ডভূক্ত হয়। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, ঘটনার সত্যতা রয়েছে। আসামীদেরকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণে কোন অবহেলা করছে না বলে তিনি জানান। এদিকে মামলার বাদী সরফ উদ্দিন অভিযোগ করেন এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে তারা নিরাপত্তাজনিত কারণে বাড়ি ছাড়া। অন্যদিকে ঘর বাড়ি ভাংচুরের মামলা করে তারা অনেকটা বিপাকে পড়েছেন। আসামী পক্ষ বিভিন্নভাবে তাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বর্তমানে তিনি বাড়িতে যেতে পারছেন  না বলে জানান। একটি নিরীহ প্রবাসীর বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে