জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ ঘন কুয়াশা কেটে যাওয়ায় ছয় ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ফ্লাইট চলাচল। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ৩০ মিনিট থেকে বিমান চলাচল শুরু হয়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটার আগ পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ ও উড্ডয়ন করতে পারেনি। এতে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের ছয়টি ফ্লাইটের ঢাকাগামী চার শতাধিক যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন।
স্থানীয় আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্যমতে, উত্তরের জেলা নীলফামারীতে ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রার পারদ কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাতের মধ্যে এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত দিনের চেয়ে তাপমাত্রা বেড়েছে ৷ বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সোমবার এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা ব্যাহত ৷ সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে বিমানবন্দর এলাকা। সকাল সাড়ে ১০টায় রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল ৫০০ মিটার, বেলা সাড়ে ১১টায় তা বেড়ে ৮০০ মিটারে গিয়ে দাঁড়ায়। বেলা ২টার দিকে কুয়াশা কেটে যাওয়ায় ফ্লাইট চলাচলের প্রয়োজনীয় দৃষ্টিসীমা চলে আসে। বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামার জন্য দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটার থাকতে হয় বলে জানান তিনি।
বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে ফ্লাইট চলাচল। ২টা ৩০ মিনিটে বেসরকারি কোম্পানি নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে প্রথম অবতরণ করে। কুয়াশার কারণে সিডিউল বিপর্যয় হলেও কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি।