কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক গৃহবধুকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত (আউটসোসিং)  নুরুজ্জামান এ ঘঁটনা ঘটিয়েছে। বৃহস্পতবিার রাতে খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
হাসপাতাল সুত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ২০ শে জুন স্বামীর নিযার্তনের স্বীকার হয়ে ওই গৃহবধু হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই গৃহবধুর মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকায় তিনি মোবাইলে চার্জ দেওয়ার জন্য চার্জার খুঁজছিলেন। এমন সময় মেডিকেলের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত স্টাফ নুরুজ্জামান মিয়া ওই গৃহবধুকে চাজার্র দেওয়ার কথা বলে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পাশে অবস্থিত হাসপাতালের ল্যাবরেটরির কাছে ধস্তাধস্তি শুরু করে। পরে মেয়েটির চিৎকার শুনে হাসপাতালে আসা রোগীর এক স্বজন ল্যাবরেটরির পাশে এগিয়ে গেলে নুরুজ্জামান মেয়েটিকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। 
হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর স্বজন সুজন মিয়া জানান, আমার বোনের বাচ্চা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে আমি তাঁকে দেখার জন্য হাসপাতালের ভিতর যাওয়ার সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি হাসপাতালের স্টাফ নুরুজ্জামান মেয়েটির সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছে। পরে আমি এগিয়ে গেলে নুরুজ্জামান মেয়েটিকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। 
এ ব্যাপারে হাসপাতালে স্টাফ নুরুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি আপনাদের সাথে কোন কথা বলতে পারবনা। যা বলার টিআইসি স্যারের সাথে কথা বলে জেনে নেন। 

কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, মেডিকেলে কিছু বহিরাগত ছেলে সমস্যা করছে হাসপাতালের কর্মকতার্র কাছ থেকে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। 
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা আবু শফি মাহমুদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, হাসপাতালে কিছু বহিরাগত ছেলে ঝামেলা করছিল তাই পুলিশকে ফোন দিয়েছিলাম । পুলিশ আসার পর বহিরাগতরা চলে গেছে। বহিরাগতরা কেন এসেছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। 
নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার রায় বলেন, আমি সংবাদটি শুনেছি তবে ওই গৃহবধুর কাছ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে