আসাদ হোসেন রিফাত, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ  লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় বহুল আলোচিত কৃষক আব্দুল মালেক হত্যাকাণ্ডের মুল হোতা তার ভাতিজা সোহেল রানা (১৯) পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ওই হত্যাকাণ্ডে তার নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার স্বীকারউক্তি মোতাবেক হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা-৭টায় নিজ বাড়ির সামনে ওই এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে আব্দুল মালেক (৪২) হত্যা কাণ্ডের শিকার হয়।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আব্দুল মালেকের ভাই ভাতিজাসহ পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, পাশ্ববর্তী একটি পরিবারের সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে, তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত।

মালেকের ছোট ভাই আব্দুল খালেকের ছেলে সোহেল রানা ওই দিন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার জ্যাঠার হতাকাণ্ডের সাথে পাশ্বর্বতী একটি পরিবার জড়িত। এই ঘটনার পর পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে উঠে পরে লাগেন এবং আঃ মালেকের পরিবারের লোকজনসহ আশে পাশের লোকজনকে কঠোর নজরদারীর মধ্যে রাখেন।

এরই পেক্ষিতে ঘটনার ১১ দিন পর শুক্রবার দুপুরে সন্দেহ থেকে সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই হত্যাকাণ্ডে তার নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এমন কি তার স্বীকারউক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি হাতুড়িও উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সোহেল রানা’র শারিরিক একটি সমস্যা নিয়ে তার জ্যাঠা আব্দুল মালেক প্রায় সময় উপহাস করত। সেই ক্ষোভ থেকে তার জেঠাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল রানা। পরে বাজার থেকে একটি হাতুড়ি ক্রয় করে বাড়ির সামনে বসে থাকা জ্যাঠার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িটি পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। যা শুক্রবার বিকালে ওই ডোবা থেকে সেই হাতুড়ি উদ্ধার করোছে পুলিশ।

হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মুল হোতা সোহেল রানাকে আটক করা হয়েছে। হত্যা কাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এর সাথে আরো কেও জড়িত আছে কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে