বিডি নীয়ালা নিউজ(৩ই মে১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ রাজধানী ঢাকার বুকে খেলার মাঠ তো দুরে থাক, ফাঁকা জায়গাও খুঁজে পাওয়া যায়না। কিন্তু আজকের যারা শিশু-কিশোর তাদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠতে প্রয়োজন খেলার মাঠ, মুক্ত আকাশের নিচে নির্বিঘ্নে ছোটাছুটি করার সুযোগ। হয়তো সে কথা বিবেচনায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব উদ্যোগ ও নির্দেশনায় কেনা হচ্ছে একটি খেলার মাঠ। যার দাম পড়ছে এক হাজার কোটি টাকা।
রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি ‘র মালিকানাধীন সাড়ে দশ বিঘা জমি কিনে নিয়ে খেলার মাঠ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজেএমসিকে দুইশ কোটি টাকা পরিশোধও করেছে মন্ত্রণালয়। বাকি ৮শ কোটি টাকাও দ্রুত পেতে যাচ্ছে বিজেএমসি।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবসরকালীন সুবিধা দেওয়ার এবং কাচাপাট কেনার প্রয়োজনীয় অর্থ নিশ্চিত করতেই গুলশানের এই জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, টাকার অভাবে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবসরকালীন সুবিধা দিতে পারছে না। একই সঙ্গে আগামী মৌসুমে কাচাপাট কেনার জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে এবং নির্দেশনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী গুলশানে বিজেএমসির ১০ দশমিক ৫৩ বিঘা জমি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর ও পাটখাতের জমি সরকারের কাছে হস্তান্তরের শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এক হাজার কোটি অর্থ বরাদ্দের নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, ওই জমিকেই একটি খেলার মাঠে রূপান্তরেরও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রটি আরও জানায়, বিজেএমসির আর্থিক সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদের সভাপতিত্বে অতি জরুরি ভিত্তিতে একটি সভা করার জন্য অনুরোধ করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ কাদের সরকার।
বস্ত্র ও পাট সচিব স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সভায় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধিকেও রাখার নির্দেশনা রয়েছে।
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনে (বিজেএমসি) প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিক এবং সাড়ে ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। এ সংস্থার অধীনে ৩টি নন জুট প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২৬টি মিল রয়েছে।
ঢাকা অঞ্চলের অধীনে ৭টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধীনে ১০টি এবং খুলনা অঞ্চলের অধীনে ৯টি মিল রয়েছে। আঞ্চলিক মিলসমূহ দেখাশোনা ও সমন্বয়ের জন্য বিজেএমসির দুটি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।##বাংলানিউজ