ডেস্ক রিপোর্টঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হরতাল এখন আর কোন দাবি আদায়ের হাতিয়ার নয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সাবেক ছাত্র নেতা গোলাম সারোওয়ার কবির ও মামনুর রশিদ শুভ্র, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ কিছু রাজনৈতিক দল একটা ইস্যুতে হরতাল ডেকেছিল। বিএনপির মতো বড় দল এই হরতালে সমর্থন দিয়েছিল। তবে ঢাকায় হরতালের কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি। কোনো যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ ছিল না। হরতাল এখন আর দাবি আদায়ের কার্যকর হাতিয়ার নয়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় হরতালের কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি। কোনো যানবাহন ও দোকানপাটও বন্ধ ছিল না, সবই ছিল স্বাভাবিক। হরতাল ডেকে নেতাকর্মীরা পিকেটিংয়ে নামেননি। নেতারা এসি রুমে বসে ঘুমিয়েছেন আর বসে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখেছেন।
দেশব্যাপী ডাকা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের রায়ের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাই এ রায়ে জনগণ কেন ভোগান্তিতে পড়বে? আপনারা আপনাদের অযৌক্তিক ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন।’
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ ৫ জন নিহতের মামলায় বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং সাভারের একটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নারী নিহত হওয়ার মামলায় মীর হোসেন নামের একজন চালকের মৃত্যুদ-ের রায় দেয়ার প্রতিবাদে দেশব্যাপী পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে চালকরা।
রাস্তায় চলাচলের সময় মোবাইল ফোনে কথা বলার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে রাস্তায় চলাচল করার সময়ও মধুর আলাপে ব্যস্ত থাকে। এর মধ্যে অনেকই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়। একটা পরিবার ধ্বংস হয় এতে। চালক বেপরোয়া, পথচারীও যদি বেপরোয়া হয় তাহলে এ দেশে দুর্ঘটনা কে রোধ করবে? তাই সবাইকে সতর্কভাবে রাস্তায় চলাচল করতে হবে।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি দরকার। ছাত্রলীগ যদি সারা বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেয় এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হয়। তাহলে ছাত্রলীগের নামে যে সব অপকর্ম হয়, তার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে। ছাত্রলীগকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আকর্ষণীয় করতে হলেও এ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে