জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানকে ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক (মরণোত্তর), জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস (মরণোত্তর) এবং জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (মরণোত্তর)।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তি ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হকের পুরস্কারটি (মরণোত্তর) গ্রহণ করেন তার দৌহিত্র ব্যারিস্টার শেখ মো. ইফতেখারুল ইসলাম। সরকারি সফরে আইন মন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাসের স্বাধীনতা পুরস্কারটি (মরণোত্তর) গ্রহণ করেন তার ছেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর) গ্রহণ করেন তার ছেলে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।

এছাড়া  শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম) এর পক্ষে স্বাধীনতা পুরস্কারটি (মরণোত্তর) তার স্ত্রী নিলুফার হুদা এবং স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনের পক্ষে তার মেয়ে সৈয়দা তানজিনা হোসেন স্বাধীনতা পুরস্কারটি (মরণোত্তর) গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে সরাসরি পদক নেন অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া, অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দীন আহমেদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জলিল।

স্বাধীনতার পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দীন আহমেদ এবং আব্দুল জলিলের প্রতি বিরল সম্মান প্রদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নেমে জীবিত এই দুই মুক্তিযোদ্ধার কাছে গিয়ে সম্মানজনক এ পদক তুলে দেন।

প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. গোলাম ফারুক স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করেন।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।

মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক। স্বাধীনতা পদক প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে