pho-shiben

নীলফামারী প্রতিনিধি: বয়স প্রায় ষাটের টান। বয়সের ভাঁড়ে নুঁয়ে পড়েছে শরীর। তবু বহু কষ্ট করে কাজকর্ম করে দিনানিপাত করে বৃদ্ধ শিবেন। তিনি বসবাস করেন নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার কলেজ পাড়ায়।

গত কাল তার সাথে কথা হলে এ প্রতিবেদকে বলেন, ৪ ছেলে মেয়ের জনক তিনি। বড় মেয়ে স্বপ্নার বিয়ে হয়েছে রশনির সাথে একই এলাকায়। মেঝ মেয়ে সান্তনার বিয়ে হয়েছে গোলাপের সাথে বোড়াগাড়িতে। তারা নিজ নিজ স্বামী সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই আছে। অন্য দুই সন্তানের কথা জানতে চাইলে সে জানায়, ছোট মেয়ে পুতুল আর ছেলে গোপাল তারা মায়ের সাথে ঢাকায় থাকে। শুনেছি তারা নাকি বাসা বাড়িতে কাজ করে। দীর্ঘ ৩-৪ বছরে একটি বারও আমার খবর রাখেনি কেউ। একাকি জীবনের সাথে লড়াই করে বাঁচেন তিনি। এমনটি কেন হয় আমাদের সমাজে ? মানবিক মূল্যবোধ অবক্ষয়ের কারণে না কি দারিদ্রতা ? যেখানে স্বামী-স্ত্রী, পিতা-পুত্রের সম্পর্কে ফাটলতার সৃষ্টি হয়। এমন সমাজ কারো কাম্য নয়। তার একাকি বসবাসের কারণ সম্পর্কে নিকটস্থ বড় মেয়ে স্বপ্নার সাথে কথা হলে সে জানায়, অভাব অনটনের সংসারে কার পরিবারে ঝগঁড়া বিবাদ না হয়। নিজেদের মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে সম্পর্কে আজ ভাটা পড়েছে। মা যখন বাপের বাড়িতে আসে দুই বোনের একটু একটু খবর নেয়। ইদানিং তাও কমে গেছে। আমাদের দুই বোনের বিয়েতে যে টুকু ভিটা মাটি ছিল তাও বিক্রি করে দিয়েছে। এখন অন্যর জমিতে একটি ঘর তৈরি করে বাস করে বাবা একাকি। মা রঞ্জিতা ছোট মেয়ে ও ছেলের ভবিষৎতের কথা ভেবে নিজেই শহরে পাড়ি জমায়। এদিকে বৃদ্ধ শিবেন অনক কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করে হাঁপিয়ে উঠেছে। তিনি চান তার জীবনের বাকি দিন গুলো স্ত্রী পুত্রের সাথে কাটাতে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে