ডেস্ক রিপোর্ট : ঈদে রেলপথে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ৮৫টি যাত্রীবাহি কোচ মেরামত প্রায় সম্পন্নের পথে। ২২ জুনের মধ্যে ওই কোচগুলো রেলপথে চলাচলের জন্য হস্তান্তর করবে কারখানা কতৃপক্ষ। এসব কোচ যুক্ত হবে ঈদের স্পেশাল ট্রেনে।
দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা সৈয়দপুরে সারা বছরই যাত্রী ও মালবাহি কোচ মেরামতসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি উৎপাদনের কাজ করে। কিন্ত প্রতিবছর ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের অতিরিক্ত চাপ সামালাতে যাত্রীবাহি কোচ মেরামতে বাড়তি চাপ থাকে ওই কারখানায়। এ লক্ষ্যে এবারে ৮৫টি কোচ মেরামতের কাজ চলছে সেখানে। ওই কর্মঘজ্ঞ ঘিরে কারখানায় চলছে কর্মব্যস্ততা। এবারে মেরামতের ৮৫টি কোচের মধ্যে রয়েছে ব্রডগেজ ৪৯টি এবং মিটার গেজ ৩৬টি। মেরামতের পর বেশিরভাগ ব্রডগেজ কোচ পাকশী এবং মিটারগেজ কোচ লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগে হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় কারখানা সূত্র।
কারখানার বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী মোল্লা জানান, মেরামত কাজ কারখানায় বছরের সব সময় হয়, কিন্ত ঈদের সময় বাড়তি চাপ থাকে। এসময়ে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে রেল বহরে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করতে হয়। এ কারণে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত কোচ মেরামত চাপ পড়ে। জনবল ঘাটতির কারণে শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তদের অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হচ্ছে।
কারখানার উপ-শপ রং ঘরের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, জনবল ঘাটতি না থাকলেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক কোচ মেরামত সম্ভব হতো।
ওই বিভাগের শ্রমিক সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রং ঘরে অন্তত ৫শ জন শ্রমিক প্রয়োজন। আমি ২০০৫সালে চাকুরীতে যোগদান করে একশ জনেরও বেশি দেখেছি। এখন সেখানে রয়েছে ৬৭জন। এর মধ্যেও অনেকেই ছুটিতে আছেন। আমরা মাত্র ৪৫ জন পুরো রং বিভাগটিকে সামাল দিচ্ছি।
কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা বলেন, ‘ঈদের আগে ৮৫টি কোচ মেরামতের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৫২টির মেরামত শেষ হয়েছে। বাকি কোচ দ্রুত সময়ে মধ্যে মেরামত করে ২২ জুন হস্তান্তর করা হবে। এসব কোচ রেলের ঈদ স্পেশাল ট্রেনে যুক্ত হবে। ওই মেরামত কাজে চলমান প্রক্রিয়া হলেও ঈদের সময় বাড়তি চাপ থাকে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠি হয় দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি। সে থেকে রেলওয়ের বিভিন্ন যন্ত্রপাটি উৎপাদন, যাত্রীবাহি কোচ ও মালামাল পরিবহনের ওয়াগন মেরামতসহ বিভিন্ন কাজ করে রেল সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি সরকার কারখানাটিতে আধুনিকায়নের কাজ হতে নিয়েছে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে